চরচা ডেস্ক

ভয়ঙ্কর কোনো অভিজ্ঞতা বা ট্রমাটিক ইভেন্ট মানুষের মানসিক ও শারীরিক জগতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এটি কোনো দুর্ঘটনা, ভয়ংকর সহিংসতা, প্রিয়জনের মৃত্যু কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। এ ধরনের ঘটনার পর নিজেকে সামলে নেওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার ভিত্তিতে ট্রমা পরবর্তী কাটিয়ে ওঠার কার্যকরী পদক্ষেপগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
নিজের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন
ট্রমার পর মানুষের মধ্যে শক, ভয়, রাগ, অপরাধবোধ বা অসাড়তা অনুভব করা স্বাভাবিক। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ)-এর মতে, এই প্রতিক্রিয়াগুলো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রতি একটি 'স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া'। নিজের আবেগকে চেপে না রেখে বরং সেগুলোকে স্বীকার করা পুনরুদ্ধারের প্রথম ধাপ।
রুটিন মেনে চলা
ট্রমা মানুষের জীবনের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। দৈনন্দিন একটি রুটিন (যেমন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো, খাওয়া বা কাজ করা) আপনার জীবনে স্থিতিশীলতার অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন মস্তিষ্কের 'অ্যামিগডালা' (যা ভয় নিয়ন্ত্রণ করে) শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
বিচ্ছিন্ন না হওয়া
মানসিক চাপের সময় মানুষ সাধারণত নিজেকে গুটিয়ে নেয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলুন। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের মতে, প্রিয়জনদের সমর্থন ট্রমা পরবর্তী স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (PTSD) ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক। ট্রমার পর শরীর উচ্চমাত্রায় স্ট্রেস হরমোন (যেমন: কর্টিসল) নিঃসরণ করে। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং হালকা ব্যায়াম শরীর থেকে এই বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে।
মিডিয়ার ব্যবহার সীমিত করুন
ঘটনা সম্পর্কিত সংবাদ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বারবার দেখা "সেকেন্ডারি ট্রমা" তৈরি করতে পারে। এটি আপনার মস্তিষ্ককে বারবার সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
কখন পেশাদার সাহায্য নেবেন?
যদি ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেও আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, আপনি যদি দুঃস্বপ্ন দেখেন বা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন, তবে একজন মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) এবং আই মুভমেন্ট ডিসেনসিটাইজেশন এন্ড রিপ্রসেসিং (EMDR) ট্রমা চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ

ভয়ঙ্কর কোনো অভিজ্ঞতা বা ট্রমাটিক ইভেন্ট মানুষের মানসিক ও শারীরিক জগতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। এটি কোনো দুর্ঘটনা, ভয়ংকর সহিংসতা, প্রিয়জনের মৃত্যু কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে। এ ধরনের ঘটনার পর নিজেকে সামলে নেওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার ভিত্তিতে ট্রমা পরবর্তী কাটিয়ে ওঠার কার্যকরী পদক্ষেপগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
নিজের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দিন
ট্রমার পর মানুষের মধ্যে শক, ভয়, রাগ, অপরাধবোধ বা অসাড়তা অনুভব করা স্বাভাবিক। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ)-এর মতে, এই প্রতিক্রিয়াগুলো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রতি একটি 'স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া'। নিজের আবেগকে চেপে না রেখে বরং সেগুলোকে স্বীকার করা পুনরুদ্ধারের প্রথম ধাপ।
রুটিন মেনে চলা
ট্রমা মানুষের জীবনের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়। দৈনন্দিন একটি রুটিন (যেমন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো, খাওয়া বা কাজ করা) আপনার জীবনে স্থিতিশীলতার অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন মস্তিষ্কের 'অ্যামিগডালা' (যা ভয় নিয়ন্ত্রণ করে) শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
বিচ্ছিন্ন না হওয়া
মানসিক চাপের সময় মানুষ সাধারণত নিজেকে গুটিয়ে নেয়। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলুন। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের মতে, প্রিয়জনদের সমর্থন ট্রমা পরবর্তী স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের (PTSD) ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক। ট্রমার পর শরীর উচ্চমাত্রায় স্ট্রেস হরমোন (যেমন: কর্টিসল) নিঃসরণ করে। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার এবং হালকা ব্যায়াম শরীর থেকে এই বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে।
মিডিয়ার ব্যবহার সীমিত করুন
ঘটনা সম্পর্কিত সংবাদ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বারবার দেখা "সেকেন্ডারি ট্রমা" তৈরি করতে পারে। এটি আপনার মস্তিষ্ককে বারবার সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
কখন পেশাদার সাহায্য নেবেন?
যদি ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেও আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, আপনি যদি দুঃস্বপ্ন দেখেন বা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন, তবে একজন মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) এবং আই মুভমেন্ট ডিসেনসিটাইজেশন এন্ড রিপ্রসেসিং (EMDR) ট্রমা চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত।
তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেন্টাল হেলথ