চরচা ডেস্ক

ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, শীতের সময় ব্যায়াম করা কি ঝুঁকিপূর্ণ? সংক্ষেপে উত্তর হলো, হ্যাঁ। শরীর প্রস্তুত না থাকলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে পেশিতে টান, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, এমনকি গুরুতর আঘাতের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তবে শুধু তাপমাত্রার কারণেই নয়, এর সঙ্গে জড়িত শরীরের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, দৈনিক ছন্দ এবং বিশ্রাম থেকে সক্রিয়তায় রূপান্তরের জটিলতা।
শীতের সকালে ব্যায়ামের ঝুঁকি এবং সেগুলো কীভাবে দূর করা যায়–সেটি নিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লিখেছেন সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মিকি মেহতা।
ডা. মিকি বলেছেন, রাতে শরীর তার সবচেয়ে নীরব কাজগুলো করে। ঘুমের সময় পেশি ঢিলে হয়, স্নায়ুতন্ত্রের গতি কমে যায়, দেহের মূল তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শরীর প্রবেশ করে গভীর পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে। এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক জৈবিক নকশা।
দিনের বেলায় শক্তি খরচ, মানসিক চাপ ও তাপের সংস্পর্শের পর রাত আসে শরীরকে মেরামত করে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করতে। নতুন করে শরীরে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার কাজ হয় রাতে।
তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই আমাদের শরীর তীব্র ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত থাকে না। পেশি তখন তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা, সংযোজক টিস্যু কম নমনীয় এবং জয়েন্ট স্বাভাবিকভাবেই শক্ত থাকে। শীতের সময়ে এটি আরও বেশি হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রা হাত-পায়ে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, স্নায়ুর সংকেত পরিবহনের গতি কমে যায় এবং পেশিকে আরও শক্তভাবে সংকুচিত হতে বাধ্য করে। শরীর ঠান্ডা থাকলে টিস্যু ঠিকমতো প্রসারিত বা দ্রুত সাড়া দিতে পারে না, ফলে আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই শীতে ব্যায়াম করার আগে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মিকি।

প্রথমত, গরম বা উষ্ণ পানিতে গোসল করা যেতে পারে। এটি শরীরের মূল তাপমাত্রা বাড়াতে, পেশি শিথিল করতে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে।
দ্বিতীয়ত, ব্যায়ামের আগে তেল বা হালকা বাম মালিশ করা যেতে পারে। এতে ত্বকের নিচের রক্তপ্রবাহ বাড়ে এবং নরম টিস্যু নড়াচড়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
তৃতীয়ত, মূল ব্যায়ামের আগে ধাপে ধাপে ওয়ার্ম-আপ করা প্রয়োজন। আগে ছোট পেশিগুলো সক্রিয় করতে হবে। হালকা স্ট্রেচিং ও অ্যাক্টিভেশন দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়াতে হবে।
চতুর্থত, অতিরিক্ত ঠান্ডা ঘরে ব্যায়াম না করাই ভালো। খুব ঠান্ডা পরিবেশে শরীর দ্রুত আবার শক্ত হয়ে যেতে পারে।
ডা. মিকির পরামর্শ, শীতকালে ব্যায়ামের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন ও শরীরের তাপ স্বাভাবিকভাবে বাড়তে দিন। এতে হঠাৎ চাপের ঝুঁকি কমে।
এ ছাড়াও শরীর কী চায়, সেটা বুঝতে হবে। জোর করে ব্যায়াম না করে আগে ওয়ার্ম-আপ বাড়ানো যেতে পারে। কারণ পেশির টান, নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা বা জয়েন্টে অস্বস্তি-এসব শীত ও সকালের সাধারণ লক্ষণ। এগুলো না এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মিকি।

ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, শীতের সময় ব্যায়াম করা কি ঝুঁকিপূর্ণ? সংক্ষেপে উত্তর হলো, হ্যাঁ। শরীর প্রস্তুত না থাকলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে পেশিতে টান, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, এমনকি গুরুতর আঘাতের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তবে শুধু তাপমাত্রার কারণেই নয়, এর সঙ্গে জড়িত শরীরের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, দৈনিক ছন্দ এবং বিশ্রাম থেকে সক্রিয়তায় রূপান্তরের জটিলতা।
শীতের সকালে ব্যায়ামের ঝুঁকি এবং সেগুলো কীভাবে দূর করা যায়–সেটি নিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে লিখেছেন সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মিকি মেহতা।
ডা. মিকি বলেছেন, রাতে শরীর তার সবচেয়ে নীরব কাজগুলো করে। ঘুমের সময় পেশি ঢিলে হয়, স্নায়ুতন্ত্রের গতি কমে যায়, দেহের মূল তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শরীর প্রবেশ করে গভীর পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে। এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক জৈবিক নকশা।
দিনের বেলায় শক্তি খরচ, মানসিক চাপ ও তাপের সংস্পর্শের পর রাত আসে শরীরকে মেরামত করে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করতে। নতুন করে শরীরে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার কাজ হয় রাতে।
তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই আমাদের শরীর তীব্র ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত থাকে না। পেশি তখন তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা, সংযোজক টিস্যু কম নমনীয় এবং জয়েন্ট স্বাভাবিকভাবেই শক্ত থাকে। শীতের সময়ে এটি আরও বেশি হয়। ঠান্ডা তাপমাত্রা হাত-পায়ে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, স্নায়ুর সংকেত পরিবহনের গতি কমে যায় এবং পেশিকে আরও শক্তভাবে সংকুচিত হতে বাধ্য করে। শরীর ঠান্ডা থাকলে টিস্যু ঠিকমতো প্রসারিত বা দ্রুত সাড়া দিতে পারে না, ফলে আঘাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাই শীতে ব্যায়াম করার আগে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মিকি।

প্রথমত, গরম বা উষ্ণ পানিতে গোসল করা যেতে পারে। এটি শরীরের মূল তাপমাত্রা বাড়াতে, পেশি শিথিল করতে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করতে সহায়তা করে।
দ্বিতীয়ত, ব্যায়ামের আগে তেল বা হালকা বাম মালিশ করা যেতে পারে। এতে ত্বকের নিচের রক্তপ্রবাহ বাড়ে এবং নরম টিস্যু নড়াচড়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
তৃতীয়ত, মূল ব্যায়ামের আগে ধাপে ধাপে ওয়ার্ম-আপ করা প্রয়োজন। আগে ছোট পেশিগুলো সক্রিয় করতে হবে। হালকা স্ট্রেচিং ও অ্যাক্টিভেশন দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়াতে হবে।
চতুর্থত, অতিরিক্ত ঠান্ডা ঘরে ব্যায়াম না করাই ভালো। খুব ঠান্ডা পরিবেশে শরীর দ্রুত আবার শক্ত হয়ে যেতে পারে।
ডা. মিকির পরামর্শ, শীতকালে ব্যায়ামের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন ও শরীরের তাপ স্বাভাবিকভাবে বাড়তে দিন। এতে হঠাৎ চাপের ঝুঁকি কমে।
এ ছাড়াও শরীর কী চায়, সেটা বুঝতে হবে। জোর করে ব্যায়াম না করে আগে ওয়ার্ম-আপ বাড়ানো যেতে পারে। কারণ পেশির টান, নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা বা জয়েন্টে অস্বস্তি-এসব শীত ও সকালের সাধারণ লক্ষণ। এগুলো না এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মিকি।

ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, শীতের সময় ব্যায়াম করা কি ঝুঁকিপূর্ণ? সংক্ষেপে উত্তর হলো, হ্যাঁ। শরীর প্রস্তুত না থাকলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে পেশিতে টান, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, এমনকি গুরুতর আঘাতের ঝুঁকিও বাড়ে।