চরচা ডেস্ক

শীতকাল শুরু হতেই একটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পানি খাওয়ার অনীহা। এ সময় ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, গরমকালেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা হলো, শীতকালেও নীরবে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে।
এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের জয়পুরের সিকে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাহুল মথুর বলেন, “মানুষ মনে করে পানিশূন্যতা শুধু গরমে হয়, কিন্তু শীত আমাদের নীরবে আরও বেশি পানিশূন্য করে তোলে।”
ডা. রাহুল জানান, কম তাপমাত্রায় তৃষ্ণার অনুভূতি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যদিও শরীরের তখনও পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন থাকে। একই সঙ্গে শুষ্ক ঘরের তাপ, ঠান্ডা বাতাসে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়।
মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ পানিশূন্যতাও শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। তার ভাষায়, মস্তিষ্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় পানিশূন্যতার ফলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি তরল কম গ্রহণের কারণে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধা এবং হৃদযন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ডা. রাহুল আরও বলেন, পানিশূন্যতায় প্রস্রাব ঘন হয়ে গেলে কিডনিতে পাথর ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, যা শীতকালে তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কম পানি ত্বকের সুরক্ষা স্তর দুর্বল করে, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায় এবং নাক ও গলার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে। পাশাপাশি পানিশূন্যতায় জয়েন্ট শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং ব্যায়ামের সক্ষমতাও কমে।
মুম্বাইয়ের ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সন্দীপ পাতিল বলেন, মানবদেহের প্রায় ৬০ শতাংশই পানি দিয়ে তৈরি। শরীরের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে পানি অপরিহার্য। কিডনির মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ, অন্ত্রে খাবার হজম এবং পুষ্টি শোষণের জন্য পানির প্রয়োজন হয়।

ডা. সন্দীপের মতে, প্রতিদিন পুরুষদের প্রায় ১৩ কাপ এবং নারীদের প্রায় ৯ কাপ পানি পান করা উচিত। শিশুদের জন্য প্রয়োজন ৩ থেকে ৪ কাপ। তিনি বলেন, শীতে মানুষ অনেক স্তরের কাপড় পরে থাকে, এতে শরীর গরম হয়ে ঘাম হয় এবং অজান্তেই শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়।
যাদের তৃষ্ণা কম লাগে, তাদের জন্য দুই চিকিৎসকই পানিসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। ডা. রাহুল বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ২ থেকে ২.৫ লিটার তরল গ্রহণ করা প্রয়োজন, যার মধ্যে স্যুপ ও ফল থেকে পাওয়া পানিও অন্তর্ভুক্ত। তবে বয়স্ক ব্যক্তি কিংবা হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শীতকালে গরম পানি, পরিষ্কার স্যুপ এবং হার্বাল চা যেমন ক্যামোমাইল বা আদা চা আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি পানিশূন্যতা কমাতে সহায়ক।
তিনি আরও জানান, কমলা, কিউই, আপেল, ডালিমের মতো ফল এবং শসা, টমেটো, লাউয়ের মতো সবজি শরীরের তরল ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি পান করা বা প্রতিটি খাবারের আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাও উপকারী।
পাশাপাশি পানিশূন্যতা বাড়াতে পারে এমন পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও চিনিযুক্ত এনার্জি ড্রিংক কম খাওয়া উচিত বলে জানান ডা. রাহুল। একই সঙ্গে অতিরিক্ত লবণযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের তরলের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে বলে সতর্ক করেন ডা. সন্দীপ।

শীতকাল শুরু হতেই একটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পানি খাওয়ার অনীহা। এ সময় ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, গরমকালেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তবে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা হলো, শীতকালেও নীরবে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে।
এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের জয়পুরের সিকে বিড়লা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাহুল মথুর বলেন, “মানুষ মনে করে পানিশূন্যতা শুধু গরমে হয়, কিন্তু শীত আমাদের নীরবে আরও বেশি পানিশূন্য করে তোলে।”
ডা. রাহুল জানান, কম তাপমাত্রায় তৃষ্ণার অনুভূতি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যদিও শরীরের তখনও পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন থাকে। একই সঙ্গে শুষ্ক ঘরের তাপ, ঠান্ডা বাতাসে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়।
মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ পানিশূন্যতাও শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। তার ভাষায়, মস্তিষ্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় পানিশূন্যতার ফলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি তরল কম গ্রহণের কারণে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জমাট বাঁধা এবং হৃদযন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপের ঝুঁকি বাড়ায়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ডা. রাহুল আরও বলেন, পানিশূন্যতায় প্রস্রাব ঘন হয়ে গেলে কিডনিতে পাথর ও ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, যা শীতকালে তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কম পানি ত্বকের সুরক্ষা স্তর দুর্বল করে, ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায় এবং নাক ও গলার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে। পাশাপাশি পানিশূন্যতায় জয়েন্ট শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং ব্যায়ামের সক্ষমতাও কমে।
মুম্বাইয়ের ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সন্দীপ পাতিল বলেন, মানবদেহের প্রায় ৬০ শতাংশই পানি দিয়ে তৈরি। শরীরের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে পানি অপরিহার্য। কিডনির মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ, অন্ত্রে খাবার হজম এবং পুষ্টি শোষণের জন্য পানির প্রয়োজন হয়।

ডা. সন্দীপের মতে, প্রতিদিন পুরুষদের প্রায় ১৩ কাপ এবং নারীদের প্রায় ৯ কাপ পানি পান করা উচিত। শিশুদের জন্য প্রয়োজন ৩ থেকে ৪ কাপ। তিনি বলেন, শীতে মানুষ অনেক স্তরের কাপড় পরে থাকে, এতে শরীর গরম হয়ে ঘাম হয় এবং অজান্তেই শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়।
যাদের তৃষ্ণা কম লাগে, তাদের জন্য দুই চিকিৎসকই পানিসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। ডা. রাহুল বলেন, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ২ থেকে ২.৫ লিটার তরল গ্রহণ করা প্রয়োজন, যার মধ্যে স্যুপ ও ফল থেকে পাওয়া পানিও অন্তর্ভুক্ত। তবে বয়স্ক ব্যক্তি কিংবা হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শীতকালে গরম পানি, পরিষ্কার স্যুপ এবং হার্বাল চা যেমন ক্যামোমাইল বা আদা চা আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি পানিশূন্যতা কমাতে সহায়ক।
তিনি আরও জানান, কমলা, কিউই, আপেল, ডালিমের মতো ফল এবং শসা, টমেটো, লাউয়ের মতো সবজি শরীরের তরল ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সময় পরপর পানি পান করা বা প্রতিটি খাবারের আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাও উপকারী।
পাশাপাশি পানিশূন্যতা বাড়াতে পারে এমন পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও চিনিযুক্ত এনার্জি ড্রিংক কম খাওয়া উচিত বলে জানান ডা. রাহুল। একই সঙ্গে অতিরিক্ত লবণযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরের তরলের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে বলে সতর্ক করেন ডা. সন্দীপ।