নাইর ইকবাল

যেদিকে চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ।
নানা শ্রেণির, নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ আসছিল দলে দলে। যদিও সবাই কী আর দল করে! কিন্তু তাতে কারো জড়ো হওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়েনি। জড়ো হওয়ার কারণটি ছিল একজনকে শেষ বিদায় জানানো, শেষবারের মতো তাকে শ্রদ্ধা জানানো।
কী অসাধারণ এক বিদায়! লাখো মানুষের ভালোবাসায় বিদায়। এমন সৌভাগ্য আসলে কয়জনের হয়? দেশটির নাম যখন বাংলাদেশ, তখন সেই ‘সৌভাগ্য’ যেন আরও দুর্লভ হয়ে ওঠে।
খালেদা জিয়া বিদায়বেলায় যে সীমাহীন ভালোবাসা পেলেন, যে আকাশস্পর্শী শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন, সেটি অনন্য এক অধ্যায়। এই দেশে এর আগে আর কোন রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারপ্রধান এমনভাবে বিদায় নিতে পেরেছেন!
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এমনিতেই বিশাল প্রান্তর। খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আসা মানুষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ প্লাজা ভরে গিয়েছিল আগেই, সেই জনস্রোত একদিকে মিরপুর সড়ক, অন্যদিকে ফার্মগেট, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ও বাংলামোটরেও ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলছেন—এই পোড়া দেশে শেষ কবে কোনো রাজনীতিবিদের এমন অসাধারণ, ভালোবাসায় পূর্ণ বিদায় ঘটেছে? এত মানুষের ভালোবাসা, আবেগমথিত শ্রদ্ধা শেষ কবে কোন রাজনীতিবিদের ভাগ্যে জুটেছে? খালেদা জিয়ার মৃত্যু যেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মহাকালেরই পরিসমাপ্তি। আজ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তার নামাজে জানাজা দেখে মনে হয়েছে মহাকালের পরিসমাপ্তি বোধহয় এভাবেই হয়!

৪৪ বছর আগে স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজা হয়েছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছিলেন জিয়া। এরপর ২ জুন তার যে নামাজে জানাজা হয়েছিল, সেটি ছিল অবিস্মরণীয়। লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণিত হয়েছিল তার জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়ার নামাজে জানাজা কিংবদন্তি হয়ে ছিল এতদিন। জিয়ার রাজনীতির পরম্পরাকে স্ত্রী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন খালেদা। ৪৪ বছর পর সেই একই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়কে যেভাবে ধারণ করল, সেটি যেন নতুন এক ইতিহাস তৈরি করল।
বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান হয়েছেন অনেকেই। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম পাঁচটি—শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। হাসিনাই শুধু বেঁচে আছেন। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশে। শুধু তা–ই নয়, মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অদূর ভবিষ্যতে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনাও অনেক যদি, কিন্তুর ওপর নির্ভরশীল।
তার বাবা শেখ মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি। তার ডাকে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা বিদ্রোহে তিনি সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। এটাই সত্য যে, তিনিই দেশের ইতিহাস রচনায় ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দুনিয়ায় পরিচিতি পাওয়া নেতা ছিলেন তিনি। তার বিদায়টা হওয়া উচিত ছিল দারুণ আবেগের। কিন্তু তার সেই সৌভাগ্য হয়নি। এতে নানা রাজনৈতিক কারণ আছে, পথ হারানোর নিখোঁজ সংবাদ আছে, সেসবও সবাই জানেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাকে শেষ বিদায় নিতে হয়েছে। ইতিহাসে যেটি প্রত্যাশিত ছিল না মোটেও।

মুজিবহীন বাংলাদেশে যে নেতৃত্বসংকট তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যেই সামরিক বাহিনী থেকে উত্থান ঘটেছিল জিয়ার। তবে হঠাৎ করেই জিয়ার আবির্ভাব ঘটেনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। শেখ মুজিবের পক্ষে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাও এসেছিল তার কণ্ঠ থেকেই। সেই জিয়াতেই মুজিবের পর আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। জিয়াও যখন মুজিবের মতো হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, তখন তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসাটা প্রকাশিত হয়েছিল শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়। তবে জিয়া যেখানে অনন্য, তা হলো—মুজিব ছিলেন আগাগোড়া রাজনীতিবিদ, আর জিয়া সামরিক শাসক থেকে হয়েছিলেন রাজনীতিবিদ। একজন সামরিক শাসকের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ যে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছিল, সেটি অবিস্মরণীয় এক ঘটনাই।
জিয়ার মতো এরশাদও ছিলেন সামরিক শাসক। জিয়ার মতোই তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত করেছিলেন নিজেকে। কিন্তু তার ভাগ্য জিয়ার মতো হয়নি। ৯ বছরের শাসন শেষ হয়েছিল জনতার অভ্যুত্থানে, তীব্র গণরোষে। তবে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের ৩০ বছরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ছিলেন। এই ব্যাপারটি তাকে ভিন্নতা দিয়েছে। যদিও জিয়া তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে জনতার কাতারে নিতে পেরেছিলেন, কিন্তু এরশাদ একই কায়দায় দল গড়েও সেটি পারেননি। ২০১৯ সালে স্বাভাবিক মৃত্যুর পর এরশাদ একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার নিজের সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন শেষ বিদায়ে। নিজের বেড়ে ওঠার স্থান রংপুরের মানুষ তাকে আবেগের সঙ্গেই বিদায় দিয়েছিল। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার বিদায়টা হয়তো আরও মহিমান্বিত হতে পারত, যদি গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কলঙ্কটা না থাকত।
খালেদা জিয়া এদিক দিয়ে নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করেই ফেললেন। ভালোবাসায় তিনি ছাপিয়ে গেলেন সবাইকে। এমনকি তার স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও। পেলেন দেশের মানুষের উজাড় করা ভালোবাসা। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে মৃত্যুর পর তিনি সব দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে গেলেন। এমন সৌভাগ্য কয়জনের হয়!
সত্যিই এত ভালোবাসায় মোড়া বিদায় এই দেশে আগে পায়নি কেউ।

যেদিকে চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ।
নানা শ্রেণির, নানা বয়সের, নানা পেশার মানুষ আসছিল দলে দলে। যদিও সবাই কী আর দল করে! কিন্তু তাতে কারো জড়ো হওয়ার আগ্রহে ভাটা পড়েনি। জড়ো হওয়ার কারণটি ছিল একজনকে শেষ বিদায় জানানো, শেষবারের মতো তাকে শ্রদ্ধা জানানো।
কী অসাধারণ এক বিদায়! লাখো মানুষের ভালোবাসায় বিদায়। এমন সৌভাগ্য আসলে কয়জনের হয়? দেশটির নাম যখন বাংলাদেশ, তখন সেই ‘সৌভাগ্য’ যেন আরও দুর্লভ হয়ে ওঠে।
খালেদা জিয়া বিদায়বেলায় যে সীমাহীন ভালোবাসা পেলেন, যে আকাশস্পর্শী শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন, সেটি অনন্য এক অধ্যায়। এই দেশে এর আগে আর কোন রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারপ্রধান এমনভাবে বিদায় নিতে পেরেছেন!
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এমনিতেই বিশাল প্রান্তর। খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আসা মানুষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, সংসদ প্লাজা ভরে গিয়েছিল আগেই, সেই জনস্রোত একদিকে মিরপুর সড়ক, অন্যদিকে ফার্মগেট, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ও বাংলামোটরেও ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বলছেন—এই পোড়া দেশে শেষ কবে কোনো রাজনীতিবিদের এমন অসাধারণ, ভালোবাসায় পূর্ণ বিদায় ঘটেছে? এত মানুষের ভালোবাসা, আবেগমথিত শ্রদ্ধা শেষ কবে কোন রাজনীতিবিদের ভাগ্যে জুটেছে? খালেদা জিয়ার মৃত্যু যেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মহাকালেরই পরিসমাপ্তি। আজ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তার নামাজে জানাজা দেখে মনে হয়েছে মহাকালের পরিসমাপ্তি বোধহয় এভাবেই হয়!

৪৪ বছর আগে স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামাজে জানাজা হয়েছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছিলেন জিয়া। এরপর ২ জুন তার যে নামাজে জানাজা হয়েছিল, সেটি ছিল অবিস্মরণীয়। লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণিত হয়েছিল তার জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়ার নামাজে জানাজা কিংবদন্তি হয়ে ছিল এতদিন। জিয়ার রাজনীতির পরম্পরাকে স্ত্রী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন খালেদা। ৪৪ বছর পর সেই একই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়কে যেভাবে ধারণ করল, সেটি যেন নতুন এক ইতিহাস তৈরি করল।
বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান হয়েছেন অনেকেই। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম পাঁচটি—শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। হাসিনাই শুধু বেঁচে আছেন। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশে। শুধু তা–ই নয়, মানবতাবিরোধী মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অদূর ভবিষ্যতে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনাও অনেক যদি, কিন্তুর ওপর নির্ভরশীল।
তার বাবা শেখ মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি। তার ডাকে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা বিদ্রোহে তিনি সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। এটাই সত্য যে, তিনিই দেশের ইতিহাস রচনায় ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের দুনিয়ায় পরিচিতি পাওয়া নেতা ছিলেন তিনি। তার বিদায়টা হওয়া উচিত ছিল দারুণ আবেগের। কিন্তু তার সেই সৌভাগ্য হয়নি। এতে নানা রাজনৈতিক কারণ আছে, পথ হারানোর নিখোঁজ সংবাদ আছে, সেসবও সবাই জানেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাকে শেষ বিদায় নিতে হয়েছে। ইতিহাসে যেটি প্রত্যাশিত ছিল না মোটেও।

মুজিবহীন বাংলাদেশে যে নেতৃত্বসংকট তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যেই সামরিক বাহিনী থেকে উত্থান ঘটেছিল জিয়ার। তবে হঠাৎ করেই জিয়ার আবির্ভাব ঘটেনি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। শেখ মুজিবের পক্ষে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাও এসেছিল তার কণ্ঠ থেকেই। সেই জিয়াতেই মুজিবের পর আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। জিয়াও যখন মুজিবের মতো হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, তখন তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসাটা প্রকাশিত হয়েছিল শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়। তবে জিয়া যেখানে অনন্য, তা হলো—মুজিব ছিলেন আগাগোড়া রাজনীতিবিদ, আর জিয়া সামরিক শাসক থেকে হয়েছিলেন রাজনীতিবিদ। একজন সামরিক শাসকের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ যে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটিয়েছিল, সেটি অবিস্মরণীয় এক ঘটনাই।
জিয়ার মতো এরশাদও ছিলেন সামরিক শাসক। জিয়ার মতোই তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত করেছিলেন নিজেকে। কিন্তু তার ভাগ্য জিয়ার মতো হয়নি। ৯ বছরের শাসন শেষ হয়েছিল জনতার অভ্যুত্থানে, তীব্র গণরোষে। তবে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের ৩০ বছরও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ছিলেন। এই ব্যাপারটি তাকে ভিন্নতা দিয়েছে। যদিও জিয়া তার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে জনতার কাতারে নিতে পেরেছিলেন, কিন্তু এরশাদ একই কায়দায় দল গড়েও সেটি পারেননি। ২০১৯ সালে স্বাভাবিক মৃত্যুর পর এরশাদ একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার নিজের সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন শেষ বিদায়ে। নিজের বেড়ে ওঠার স্থান রংপুরের মানুষ তাকে আবেগের সঙ্গেই বিদায় দিয়েছিল। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার বিদায়টা হয়তো আরও মহিমান্বিত হতে পারত, যদি গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কলঙ্কটা না থাকত।
খালেদা জিয়া এদিক দিয়ে নিজেকে পুরোপুরি আলাদা করেই ফেললেন। ভালোবাসায় তিনি ছাপিয়ে গেলেন সবাইকে। এমনকি তার স্বামী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও। পেলেন দেশের মানুষের উজাড় করা ভালোবাসা। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে মৃত্যুর পর তিনি সব দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে গেলেন। এমন সৌভাগ্য কয়জনের হয়!
সত্যিই এত ভালোবাসায় মোড়া বিদায় এই দেশে আগে পায়নি কেউ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় ক্ষমতায় থাকতে অনেক নেতা-নেত্রী জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম নিয়ত তার গুণকীর্তনে ব্যস্ত থাকে, দলীয় নেতা-কর্মীরাও তাকে মহামানবের আসনে বসান। কিন্তু ক্ষমতার বাইরে থেকে যারা বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন, তিনিই প্রকৃত জনপ্রিয় নেতা বা নেত্রীর শিরোপা পান।