
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা শহরের সেই অবিস্মরণীয় বিকেলটি কেমন ছিল? ঢাকার রমনা রেসকোর্স ময়দানে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পন বাঁধভাঙা আনন্দের স্রোত বইয়ে দিয়েছিল ঢাকার মানুষের মধ্যে। কিন্তু অনির্বচনীয় আনন্দের মধ্যেও লুকিয়ে ছিল শোকের করুণাধারা।

চীন–পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক সেই ১৯৫১ সাল থেকেই প্রতিশ্রুতির। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতি চীনের ‘নৈতিক’ সমর্থন ছিল। পাকিস্তানকে অস্ত্রও সরবরাহ করেছিল তারা। কিন্তু পাকিস্তানকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত সৈন্য দিয়ে সহায়তা দেয়নি কেন তারা?

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার শিরোনাম ছিল ‘BANGLADESH LIBERATED’। এতে বলা হয়, স্বাধীন রাষ্ট্রের আবেগে ঢাকা শহর ফেটে পড়েছে।

‘ব্যাটল অব শিরোমণি’র শুরুটা হয়েছিল ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১। ভারতীয় বাহিনীর মেজর মহেন্দ্র সিং ও মুক্তিবাহিনীর মেজর ওসমান গনির নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটা বড় কনভয় খুলনা শহর মুক্ত করতে রওনা দেয়। কিন্তু এই কনভয়ের শিরোমণি এলাকায় পৌঁছলে পাকিস্তান বাহিনী চতুর্দিক থেকে অ্যামবুশ করে। এতে ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর

বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই পোস্টে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনাকে ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে উল্লেখ করে নিজেদের যোদ্ধাদের স্মরণ করেছেন তিনি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘আলোকচিত্রে মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামের উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি।

মুক্তিযুদ্ধের লড়াই মানে জনযুদ্ধের ইতিহাস। সে ইতিহাসে এতদিন ছিলো শহরের কর্তৃত্ব, যেখানে উপেক্ষিত গ্রাম। সেই গ্রামের জনজীবনের লড়াই উঠে এসেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহবুবুর রশীদ এর আলোচনায়। সঙ্গে ছিলেন চরচা সম্পাদক সোহরাব হাসান।

বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জন্য কিছু চাইনি, আমাদের স্বপ্ন ছিল এমন একটি দেশ গড়ে তোলার, যেখানে আমাদের সন্তানেরা ঔপনিবেশিক মানসিকতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে বেড়ে উঠবে। শুধু একটা মুক্ত ভূমি নয়, মানুষের সার্বিক মুক্তি।

১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো যুদ্ধে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন।

১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো যুদ্ধে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া সূর্য-সন্তানদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা মনীষীদের যে ভাস্কর্যগুলো গড়েছিলেন ভাস্কর শামীম সিকদার—৫ আগস্ট (২০২৫) সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় পরও ভাস্কর্যগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া সূর্য-সন্তানদের। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা মনীষীদের যে ভাস্কর্যগুলো গড়েছিলেন ভাস্কর শামীম সিকদার—৫ আগস্ট (২০২৫) সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এক বছরের বেশি সময় পরও ভাস্কর্যগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

জহির রায়হান মিরপুরে যাবার আগে ক্যাপ্টেন জিএইচ মোর্শেদ খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে। মোর্শেদ খান যথাযথ নিরাপত্তা সতর্কতা নিয়ে তাঁকে মিরপুরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সঙ্গে পুলিশ নিয়ে যেতে। পরে ক্যাপ্টেন মোর্শেদ অভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

জহির রায়হান মিরপুরে যাবার আগে ক্যাপ্টেন জিএইচ মোর্শেদ খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে। মোর্শেদ খান যথাযথ নিরাপত্তা সতর্কতা নিয়ে তাঁকে মিরপুরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন সঙ্গে পুলিশ নিয়ে যেতে। পরে ক্যাপ্টেন মোর্শেদ অভিযানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।