চরচা ডেস্ক

বছর শেষে অনেকগুলো উৎসব মিলে বেশ ছুটি পাওয়া যায়। এই সময়টাকে অনেকেই ‘বছরের সবচেয়ে সেরা সময়’ বলে থাকেন। সবার জন্য কিন্তু এই সময়টা আনন্দের হয় না। অনেকেরই এ সময় আনন্দের বদলে বেড়ে যায় চাপ, দুঃখ বা একাকীত্বের অনুভূতি।
বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টাকে বলেন হলিডে ব্লুজ বা ছুটির বিষণ্নতা (হলিডে ডিপ্রেশন)।
আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মনোবিজ্ঞানী ড. ডন পটার বলেছেন, বছরের শেষে বড়দিন, নববর্ষসহ নানা উৎসবকে ঘিরে জমায়েত, পারিবারিক আড্ডা ও সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রত্যাশাই অনেক সময় এই হলিডে ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হলিডে ডিপ্রেশন আসলে কী?
এটি সাধারণত পরিস্থিতিভিত্তিক বিষণ্নতা, যা বছরের শেষের দিকে উৎসব শুরু হলে দেখা দেয়। এটি হঠাৎ করে আসতে পারে এবং এক অনুষ্ঠান শেষ হয়ে আরেকটি শুরু হওয়া পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। এই বিষণ্নতা মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং দৈনন্দিন কাজ সামলানোর সক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলে।
ড. ডন বলেন, “হলিডে ডিপ্রেশনে ভুগলে মনে হয় যেন সবাই ভালো সময় কাটাচ্ছে, শুধু আপনি পারছেন না। এমন মনে হয় যেন বাইরে দাঁড়িয়ে অন্য্যের আনন্দ দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।”
কেন এমন হয়?
বিশেষজ্ঞ বলছেন, এ অনুভূতির পেছনে থাকতে পারে নানা কারণ—
এই বিষণ্ন কীভাবে দূর করা যায়
এই হলিডে ডিপ্রেশন দূর করার জন্য ড. ডন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, যেটা অনুভব করছেন, সেটাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি একা লাগে, চিন্তা করতে হবে যে আপনি একা নন, আরও অনেকে এমন অনুভব করছে। তাছাড়া মাথায় যদি নেতিবাচক কোনো চিন্তা আসে, সেটিকে সরিয়ে অন্য কোনোকিছুতে মনোযোগ দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, একটা বাউন্ডারি তৈরি করতে হবে। সব অনুষ্ঠানেই যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। না বলতে শিখতে হবে, প্রয়োজনে বের হয়ে আসতে হবে।
তৃতীয়ত, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। সরাসরি না হোক, মোবাইলে কল, ভিডিও কল বা ম্যাসেজ দিয়েও যোগাযোগ করা যেতে পারে। একা অনুভব করলে পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ড. ডন।

চতুর্থত, কঠিন সময়ের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বড় পরিসরে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সঙ্গে এমন কাউকে রাখুন, যার সঙ্গে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এ ছাড়া, কোনো প্রিয়জনকে হারানো থেকে যদি হতাশা বা বিষণ্নতা এসে থাকে তাহলে ছুটির দিনগুলোতে তাদের বিশেষভাবে মনে করার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ডন পটার। এজন্য স্মৃতিচারণ করা যেতে পারে, তাদের প্রিয় খাবার রান্না করা বা অন্যকোনোভাবে তাদের মনে করা যায়।
হলিডে ডিপ্রেশন কাটাতে অন্যদের সহায়তা করার পরামর্শ দিয়েছেন ড.ডন। তিনি জানান, কিছু স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করলে মন ভালো থাকে, একাকীত্ব দূর হয়।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কম ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এখানে যা দেখানো হয়, তা কেবল আকর্ষণীয় অংশ।
হলিডে ডিপ্রেশন কাটাতে নিজের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই মনোবিজ্ঞানী। পর্যাপ্ত ঘুম, কিছু সময় বাইরে হাঁটা, শরীরচর্চা এবং প্রিয় কাজে নিজেকে যুক্ত করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলা অনেককে এই সময় পার হতে সাহায্য করে।
উৎসবের সময়টাতে আলো ঝলমল পরিবেশের মধ্যে নিজের জীবনের শূন্যতা বা চাপে অনেক সময় মন আরও ভারী লাগে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেকে খুব ভালো কিছু উপহার দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ এই সময়টা তো স্থায়ী নয়। কয়েকদিন বাদেই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছর, জীবনে আসবে নতুন ব্যস্ততা। তখন হলিডে ডিপ্রেশন নিয়ে চিন্তা করার ফুরসতও পাওয়া যাবে না।

বছর শেষে অনেকগুলো উৎসব মিলে বেশ ছুটি পাওয়া যায়। এই সময়টাকে অনেকেই ‘বছরের সবচেয়ে সেরা সময়’ বলে থাকেন। সবার জন্য কিন্তু এই সময়টা আনন্দের হয় না। অনেকেরই এ সময় আনন্দের বদলে বেড়ে যায় চাপ, দুঃখ বা একাকীত্বের অনুভূতি।
বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়টাকে বলেন হলিডে ব্লুজ বা ছুটির বিষণ্নতা (হলিডে ডিপ্রেশন)।
আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মনোবিজ্ঞানী ড. ডন পটার বলেছেন, বছরের শেষে বড়দিন, নববর্ষসহ নানা উৎসবকে ঘিরে জমায়েত, পারিবারিক আড্ডা ও সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রত্যাশাই অনেক সময় এই হলিডে ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হলিডে ডিপ্রেশন আসলে কী?
এটি সাধারণত পরিস্থিতিভিত্তিক বিষণ্নতা, যা বছরের শেষের দিকে উৎসব শুরু হলে দেখা দেয়। এটি হঠাৎ করে আসতে পারে এবং এক অনুষ্ঠান শেষ হয়ে আরেকটি শুরু হওয়া পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। এই বিষণ্নতা মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং দৈনন্দিন কাজ সামলানোর সক্ষমতাতেও প্রভাব ফেলে।
ড. ডন বলেন, “হলিডে ডিপ্রেশনে ভুগলে মনে হয় যেন সবাই ভালো সময় কাটাচ্ছে, শুধু আপনি পারছেন না। এমন মনে হয় যেন বাইরে দাঁড়িয়ে অন্য্যের আনন্দ দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।”
কেন এমন হয়?
বিশেষজ্ঞ বলছেন, এ অনুভূতির পেছনে থাকতে পারে নানা কারণ—
এই বিষণ্ন কীভাবে দূর করা যায়
এই হলিডে ডিপ্রেশন দূর করার জন্য ড. ডন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, যেটা অনুভব করছেন, সেটাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি একা লাগে, চিন্তা করতে হবে যে আপনি একা নন, আরও অনেকে এমন অনুভব করছে। তাছাড়া মাথায় যদি নেতিবাচক কোনো চিন্তা আসে, সেটিকে সরিয়ে অন্য কোনোকিছুতে মনোযোগ দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, একটা বাউন্ডারি তৈরি করতে হবে। সব অনুষ্ঠানেই যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। না বলতে শিখতে হবে, প্রয়োজনে বের হয়ে আসতে হবে।
তৃতীয়ত, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। সরাসরি না হোক, মোবাইলে কল, ভিডিও কল বা ম্যাসেজ দিয়েও যোগাযোগ করা যেতে পারে। একা অনুভব করলে পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ড. ডন।

চতুর্থত, কঠিন সময়ের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বড় পরিসরে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সঙ্গে এমন কাউকে রাখুন, যার সঙ্গে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
এ ছাড়া, কোনো প্রিয়জনকে হারানো থেকে যদি হতাশা বা বিষণ্নতা এসে থাকে তাহলে ছুটির দিনগুলোতে তাদের বিশেষভাবে মনে করার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ডন পটার। এজন্য স্মৃতিচারণ করা যেতে পারে, তাদের প্রিয় খাবার রান্না করা বা অন্যকোনোভাবে তাদের মনে করা যায়।
হলিডে ডিপ্রেশন কাটাতে অন্যদের সহায়তা করার পরামর্শ দিয়েছেন ড.ডন। তিনি জানান, কিছু স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করলে মন ভালো থাকে, একাকীত্ব দূর হয়।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কম ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এখানে যা দেখানো হয়, তা কেবল আকর্ষণীয় অংশ।
হলিডে ডিপ্রেশন কাটাতে নিজের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই মনোবিজ্ঞানী। পর্যাপ্ত ঘুম, কিছু সময় বাইরে হাঁটা, শরীরচর্চা এবং প্রিয় কাজে নিজেকে যুক্ত করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এরপর প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলা অনেককে এই সময় পার হতে সাহায্য করে।
উৎসবের সময়টাতে আলো ঝলমল পরিবেশের মধ্যে নিজের জীবনের শূন্যতা বা চাপে অনেক সময় মন আরও ভারী লাগে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেকে খুব ভালো কিছু উপহার দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ এই সময়টা তো স্থায়ী নয়। কয়েকদিন বাদেই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছর, জীবনে আসবে নতুন ব্যস্ততা। তখন হলিডে ডিপ্রেশন নিয়ে চিন্তা করার ফুরসতও পাওয়া যাবে না।

ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে যেহেতু ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে, তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, শীতের সময় ব্যায়াম করা কি ঝুঁকিপূর্ণ? সংক্ষেপে উত্তর হলো, হ্যাঁ। শরীর প্রস্তুত না থাকলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে পেশিতে টান, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, এমনকি গুরুতর আঘাতের ঝুঁকিও বাড়ে।