বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারতের যা করণীয়

অশোক সোয়াইন
অশোক সোয়াইন
বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ভারতের যা করণীয়
বাংলাদেশ এবং ভারতের পতাকা। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনা ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গত আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে হাদি হত্যাকাণ্ডের পর সেই পরিস্থিতি এখন প্রকাশ্য বৈরিতায় রূপ নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবনতির পেছনে কেবল কূটনৈতিক ব্যর্থতাই দায়ী নয়, বরং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং দেশটির রাজনৈতিক মহলের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা এই উত্তেজনাকে আরও উসকে দিয়েছে।

সংযত আচরণ, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা যখন সময়ের দাবি, ঠিক তখনই ভারতের জনপরিসরের একটি বড় অংশ বাংলাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টের আগুনে উল্টো ঘি ঢালছে।

গত ১২ ডিসেম্বর ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার অনেক আগে থেকেই ঢাকা ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতের ভাবমূর্তিটা এমন যে, ভারত সরকার শেখ হাসিনার দীর্ঘস্থায়ী শাসনের ওপর রাজনৈতিক বাজি ধরেছিল।

হাসিনার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির ভূমিকা ছিল অত্যন্ত ধীরগতির, অনিচ্ছুক ও বিব্রতকর।

আর বাংলাদেশের মানুষের এই ধারণা আরও পোক্ত হয় তখন, যখন শেখ হাসিনার পলায়নের পর নয়াদিল্লি তাকে ভারতে অবস্থানের অনুমতি দেয় এবং পরে তার বহু রাজনৈতিক মিত্র ও সমর্থকও সীমান্তের ওপারে আশ্রয় গ্রহণ করে।

এই ঘটনা অনেক বাংলাদেশির কাছে এই বিশ্বাসই আরও জোরদার করেছে যে, ভারত আর কোনো নিরপেক্ষ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াইয়ে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়া এক স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষ।

হাদির হত্যাকাণ্ড সেই সন্দেহকে আরও বিস্ফোরক করে তুলেছে। তিনি সাধারণ কোনো অধিকারকর্মী ছিলেন না। তিনি ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানের সেই প্রজন্মের এক প্রতীক, যারা জবাবদিহি, মর্যাদা ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল। তার এই মৃত্যু এখন কেবল অভ্যন্তরীণ শক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং বিদেশি যোগসাজশের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত গণঅসন্তোষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

এই যে অভিযুক্তরা চলমান বিচার প্রক্রিয়া এড়িয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তা জনমনে এক শক্তিশালী বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারণা তৈরি করেছে। চলতি সপ্তাহে ঢাকা ও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি রাষ্ট্রদূতকে তলবের ঘটনাটি কেবল কূটনৈতিক অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি এমন এক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা ও সৌজন্যবোধের চরম অবনতিকেই নির্দেশ করছে, যখন এর প্রয়োজনীয়তা ছিল সবচেয়ে বেশি।

এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পেছনে সবচেয়ে বড় প্রভাবক কিন্তু কূটনীতি নয়, বরং প্রচলিত বয়ান বা ডিসকোর্স। এর প্রতিফলন দেখা গেছে বাংলাদেশে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে, যা সীমান্তের দুই পাশেই উত্তেজনাকে আরও উসকে দিয়েছে। ময়মনসিংহের ২৭ বছর বয়সী দীপু চন্দ্র দাসকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে হত্যা করে; এমনকি তার দেহ একটি গাছের সাথে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সাতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে (এখন পর্যন্ত ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে)। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ এই জবাবদিহি বা দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে, বরং বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক বা বিশৃঙ্খল রাষ্ট্র হিসেবে চিত্রায়িত করার পথ বেছে নিয়েছে। ঘটনার বীভৎস বর্ণনাগুলোকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয়েছে। ফলে একটি ফৌজদারি অপরাধকে ঢালাওভাবে একটি দেশের পুরো জনসংস্কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগে রূপান্তর করা হয়েছে।

এই ধরনের সংবাদ প্রচার না পারে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে, না পারে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে। বরং এটি এমন এক সময়ে সাম্প্রদায়িক পরিচয়কে আরও উগ্র করে তোলে, ভীতি সঞ্চার করে এবং বৈরী মনোভাবকে উসকে দেয়, যখন সংযম ও সঠিক পদক্ষেপ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

হাসিনার পতনের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ বাংলাদেশের এই অস্থিরতাকে গঠনমূলক বিশ্লেষণের পরিবর্তে নেতিবাচক ও আতঙ্কজনকভাবে উপস্থাপন করছে। জুলাইয়ের আন্দোলনকে একটি ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে বহু ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ঢালাওভাবে আন্দোলনকারীদের ‘ইসলামপন্থী’, ‘মৌলবাদী’ বা ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই ধরনের প্রচার কেবল ভুলই নয়, বরং উসকানিমূলক। এটা আসলে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী দেশের ওপর ভারতের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উদ্বেগগুলোকে চাপিয়ে দিয়ে এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অসন্তোষকে ধর্মীয় উন্মাদনা হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর বৈধতা ক্ষুণ্ণ করে।

এ ধরনের ন্যারেটিভ বা বয়ান মূলত বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতার রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণগুলোকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে সেটাকে এক ধরনের সরলীকরণ করে এবং ব্যঙ্গাত্মক রূপ দেয়। এতে দুই দেশের নাগরিকদের কাছে দুই ধরনের বার্তা যাচ্ছে। ভারতের মানুষ এই অস্থিরতাকে বাংলাদেশের মানুষের সুশাসন আর ন্যায়বিচারের লড়াই না ভেবে নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখছে। একইভাবে, বাংলাদেশের মানুষ ভাবছে ভারত তাদেরকে এক ধরনের ঝামেলা হিসেবে দেখে এবং মনে করে এই ঝামেলা সামলানোর দায় ভারতের।

সরকারি ঘরানার ভারতীয় গণমাধ্যম এবং দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে উপস্থাপন করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা সমভাবেই বিপজ্জনক। এই বিশ্লেষকরা কোনো প্রমাণ বা প্রেক্ষাপট ছাড়াই অনুপ্রবেশ, অস্থিরতা ও আন্তঃসীমান্ত বিশৃঙ্খলার ভয়কে অত্যন্ত হালকাভাবে সামনে আনেন।

এটি সাংবাদিকতা নয়, এটি হলো 'সিকিউরিটাইজেশন' বা কোনো বিষয়কে কেবল নিরাপত্তার আদলে দেখা। যখনই বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে একটি 'হুমকি' হিসেবে ফ্রেম করা হয়, তখন সেখানকার প্রতিটি রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহকেই ভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করা হয়। ফলে যেকোনো বিদেশি সহযোগিতাকে তখন সন্দেহের চোখে দেখা হয়, স্থিরতাকে দেখানো হয় দুর্বলতা হিসেবে এবং সংঘাত এড়ানোর পরিবর্তে তা অনিবার্য বলে মনে হতে শুরু করে।

এর পরিণাম এখন দৃশ্যমান। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্ষোভ, এমনকি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চৌকিগুলোর কাছাকাছি প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো এটাই প্রমাণ করে যে, দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা কত দ্রুত রাজপথে ছড়িয়ে পড়ছে। জনরোষ এখন আর কেবল রাজনৈতিক এলিট বা অ্যাকটিভিস্ট মহলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি এখন একটি গণ-আবেগে পরিণত হচ্ছে। আর যখন এমনটা ঘটে, তখন সরকারগুলো পর্দার আড়ালের বা নীরব কূটনীতির সুযোগ হারিয়ে ফেলে।

বাংলাদেশে এখন পরিস্থিতি এমন যে, সরকারকে যদি কোনোভাবে ভারতের প্রতি নমনীয় মনে হয়, তবে তাদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

অন্যদিকে, ভারতের গণমাধ্যমে প্রচারিত নেতিবাচক প্রচারগুলো নীতিনির্ধারকদের এমন এক কঠোর অবস্থানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যেখানে সূক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণ বা আপসের কোনো সুযোগ অবশিষ্ট থাকছে না।

ঠিক এই কারণেই দায়িত্বশীলতা এত গুরুত্বপূর্ণ। এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ভারত একটি বৃহত্তর শক্তি। ভারতের সংবাদমাধ্যম তুলনামূলকভাবে বেশি জোরালো, প্রভাবশালী ও সীমান্তের ওপারে বয়ান বা ন্যারেটিভ তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষম। আর এই প্রভাবের সাথে সাথেই জন্ম নেয় এক ধরনের দায়বদ্ধতা। বাংলাদেশের সংকটকে প্রাথমিকভাবে কেবল একটি 'নিরাপত্তা সমস্যা' হিসেবে দেখা কেবল বিশ্লেষণাত্মকভাবেই ত্রুটিপূর্ণ নয়, বরং এটি কৌশলগতভাবেও আত্মঘাতী। এটি নিশ্চিতভাবে আরও গভীর ক্ষোভ ও দীর্ঘমেয়াদি অবিশ্বাস তৈরি করবে এবং এমন এক প্রতিবেশীর জন্ম দেবে, যে নিজেকে ক্রমেই ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করবে।

ইতিহাসের সতর্কবাণী

ইতিহাস আমাদের এক স্পষ্ট সতর্কতা দেয়। বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী মনোভাব গত কয়েক দশকে কখনো বেড়েছে, কখনো-বা কমেছে। বিশেষ করে যখনই কোনো হস্তক্ষেপ বা শ্রেষ্ঠত্বমূলক আচরণের আভাস পাওয়া গেছে, তখনই এই ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে, আবার পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের সময় তা প্রশমিত হয়েছে।

তবে বর্তমান সময়টি ভিন্ন হওয়ার কারণ হলো, বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার গতি এবং এর ব্যাপকতা। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার, টেলিভিশন টকশোর উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্ক এবং উসকানিমূলক শিরোনামগুলো সাময়িক ক্ষোভকে একটি স্থায়ী কাঠামোগত বিচ্ছিন্নতায় পরিণত করছে।

ভারতের কাছে এখনো ভিন্ন একটি পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। সেই পথের সূচনা হতে পারে হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে স্বচ্ছতার সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে। তবে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপুর্ণ হলো সেই গণমাধ্যম বয়ানগুলোর মুখোমুখি হওয়া, যা প্রকৃত সত্যকে বিকৃত করছে। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো এমন ভান করতে পারে না যে, টেলিভিশন স্টুডিও কিংবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। কাণ্ডজ্ঞানহীন এই 'ফ্রেমিং' বা অপপ্রচার দেখেও নীরব থাকা কার্যত সেগুলোকে এক প্রকার মৌন সম্মতি দেওয়ারই নামান্তর।

দায়িত্বশীল আচরণের অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশকে সব ধরনের সমালোচনা থেকে রক্ষা করতে হবে, অথবা ভারতের প্রকৃত নিরাপত্তা উদ্বেগকে উপেক্ষা করতে হবে। এর প্রকৃত অর্থ হলো– তদন্ত বা বিশ্লেষণ এবং উসকানির মধ্যকার পার্থক্যটুকু বুঝতে পারা। এর অর্থ হলো–এটি স্বীকার করে নেওয়া যে, কোনো প্রতিবেশীর রাজনৈতিক পরিবর্তন মানেই তা অবধারিতভাবেই কোনো 'হুমকি' নয়। আর এর চূড়ান্ত অর্থ হলো–এটি বুঝতে পারা যে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সন্দেহের মাধ্যমে বজায় থাকে না, বরং তা রক্ষিত হয় পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর এই ট্র্যাজেডি সহমর্মিতা ও সংযম প্রদর্শনের একটি মুহূর্ত হওয়া উচিত ছিল। পরিবর্তে, এটি আরও গভীর বিভাজনের অনুঘটক হয়ে উঠছে। ভারত যদি তার গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বয়ানকে তথ্যের পরিবর্তে এভাবে উত্তেজনা ছড়াতে অনুমতি দিতে থাকে, তবে এটি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এমন এক বৈরিতার চক্রে আটকে ফেলার ঝুঁকি তৈরি করবে, যা বর্তমান সংকট পেরিয়ে ভবিষ্যতেও দীর্ঘকাল স্থায়ী হতে পারে।

এখানে কেবল দ্বিপক্ষীয় সদিচ্ছাই সংকটের মুখে নেই, বরং দক্ষিণ এশিয়ার পারস্পরিক আস্থার যে মৌলিক কাঠামো, তাও ঝুঁকির মুখে। একবার যদি সেই কাঠামোর পতন ঘটে, তবে তা নতুন করে তৈরি করতে কয়েক মাস বা বছর নয়, বরং কয়েক প্রজন্ম সময় লেগে যেতে পারে।

অশোক সোয়াইন একজন শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। তিনি সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রিসার্চ বিভাগের একজন অধ্যাপক। ২০১৭ সালে তিনি আন্তর্জাতিক পানি সহযোগিতার বিষয়ক 'ইউনেস্কো চেয়ার' হিসেবে নিযুক্ত হন।

লেখাটি স্ক্রল ডট ইনে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে অনুবাদ করে প্রকাশিত

সম্পর্কিত