চরচা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পায় তার দল আওয়ামী লীগ।
এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের পতন হয়। ওই দিনই তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার এই দীর্ঘ শাসনামলের অর্জন ও বিতর্ক নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ২০০৯ সালের পর থেকে অভূতপূর্ব সাফল্য ঘটেছে।
গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে তিন গুণ হয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত ২০ বছরে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে এই খাত থেকে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার বাজারে পণ্য সরবরাহ করে এই খাত, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বেড়েছে।
দেশের নিজস্ব অর্থ, ঋণ এবং উন্নয়ন সহায়তা ব্যবহার করে বৃহৎ পরিসরে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পও হাতে নিয়েছিল হাসিনা সরকার-এর মধ্যে অন্যতম ছিল পদ্মা সেতু।
তবে দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সমালোচক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এক সময় বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন তিনি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে অন্তত ৭০০টি জোরপূর্বক গুম ও শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য এসব ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন হাসিনা।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) নিষেধাজ্ঞা দেয়।
মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরাও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার, নজরদারি ও হয়রানির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আদালতের মামলার মাধ্যমে ‘বিচারিক হয়রানি’ করার অভিযোগও রয়েছে হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে। হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।
হাসিনার সরকার এসব নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে অভিযোগগুলো তদন্ত করতে চাওয়া বিদেশি সাংবাদিকদের সফরও সীমিত করা হয়েছে।
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, মূল্যস্ফীতি চলে যায় নাগালের বাইরে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হু হু করে কমে যায় এবং ২০১৬ সালের পর থেকে বৈদেশিক ঋণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে গত বছর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এক পর্যায়ে বিক্ষোভে রূপ নেয়।
দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সমালোচকরা হাসিনা সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি শুধু হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই সুবিধা দিয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শাসনক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পায় তার দল আওয়ামী লীগ।
এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের পতন হয়। ওই দিনই তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার এই দীর্ঘ শাসনামলের অর্জন ও বিতর্ক নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ২০০৯ সালের পর থেকে অভূতপূর্ব সাফল্য ঘটেছে।
গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে তিন গুণ হয়েছে এবং বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত ২০ বছরে ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত। বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে এই খাত থেকে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার বাজারে পণ্য সরবরাহ করে এই খাত, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বেড়েছে।
দেশের নিজস্ব অর্থ, ঋণ এবং উন্নয়ন সহায়তা ব্যবহার করে বৃহৎ পরিসরে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পও হাতে নিয়েছিল হাসিনা সরকার-এর মধ্যে অন্যতম ছিল পদ্মা সেতু।
তবে দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সমালোচক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এক সময় বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন তিনি।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, ২০০৯ সালে হাসিনা ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে অন্তত ৭০০টি জোরপূর্বক গুম ও শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য এসব ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন হাসিনা।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) নিষেধাজ্ঞা দেয়।
মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরাও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার, নজরদারি ও হয়রানির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আদালতের মামলার মাধ্যমে ‘বিচারিক হয়রানি’ করার অভিযোগও রয়েছে হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে। হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস।
হাসিনার সরকার এসব নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে অভিযোগগুলো তদন্ত করতে চাওয়া বিদেশি সাংবাদিকদের সফরও সীমিত করা হয়েছে।
করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, মূল্যস্ফীতি চলে যায় নাগালের বাইরে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হু হু করে কমে যায় এবং ২০১৬ সালের পর থেকে বৈদেশিক ঋণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে গত বছর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এক পর্যায়ে বিক্ষোভে রূপ নেয়।
দেশের এই পরিস্থিতির জন্য সমালোচকরা হাসিনা সরকারের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি শুধু হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই সুবিধা দিয়েছে।