
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে এর আগে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। নতুন করে এ আলোচনা আবার সামনে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে?

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “(আসামিদের) অনুপস্থিতিতে এই বিচারের কার্যক্রম নজিরবিহীন দ্রুতগতিতে করা হয়েছে। আদালত নিযুক্ত আইনজীবী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করলেও তিনি (বিবাদীকে) রক্ষার্থে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য খুব কম সময় পেয়েছেন।”

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।

শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল প্রসঙ্গে বলেন, “আমার পক্ষে এ মামলায় আপিল করার সুযোগ নেই।

পরওয়ার বলেন, “আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে আংশিক হলেও জাতির বহু দিনের আশা পূরণ হয়েছে। বিচারকরা দীর্ঘ সময় ধরে যে রায় পড়েছেন, তাতে পরিষ্কার বোঝা গেছে, অপরাধীরা কতটা নৃশংস ও ঘৃণ্য অপরাধ করেছিল।”

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রায় পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা, উত্তেজনাপ্রসূত আচরণ, সহিংসতা বা আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইবুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-আগস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে জন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনোই কোনো আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি।”

তবে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এটি ব্যক্তিগত দায়ের বিচার, কোনো রাজনৈতিক দলের বিচার নয়। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নেয়নি।

তবে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এটি ব্যক্তিগত দায়ের বিচার, কোনো রাজনৈতিক দলের বিচার নয়। তাই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আদালত আমলে নেয়নি।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের পতন হয়। ওই দিনই তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার এই দীর্ঘ শাসনামলের অর্জন ও বিতর্ক নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলের পতন হয়। ওই দিনই তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার এই দীর্ঘ শাসনামলের অর্জন ও বিতর্ক নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

চুক্তি বাতিল হলে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা চরম রূপ নেবে-যা আঞ্চলিক, ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এই মুহূর্তে যা ভারতের জন্য আরও সমস্যার সৃষ্টি করবে।

চুক্তি বাতিল হলে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা চরম রূপ নেবে-যা আঞ্চলিক, ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এই মুহূর্তে যা ভারতের জন্য আরও সমস্যার সৃষ্টি করবে।