
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার জন্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে একটি তহবিল গঠনের কথা বলা হয়। এ তহবিল এখন বাস্তব। বাংলাদেশড়সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু এ সহায়তার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এর পরিমাণ নিয়েও।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের (কপ) ৩০তম আসর শেষ হয় গত ২১ নভেম্বর। সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল দেশে ফেরে ২৩ নভেম্বর, ঠিক যেদিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশের রাজধানীতে দূষণ থাকবে না–এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু এটা একটা বৈপরীত্যকে সামনে আনে।

মানচিত্র থেকে জানা যায়, ভারতের ৬১ ভাগ এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। ইন্ডিয়ান-ইউরেসিয়া পাতের মধ্যে সংঘর্ষ এবং পাত সরে যাওয়ার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বেড়েছে। তালিকায় রয়েছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের কিছু এলাকা।

জলবায়ু কর্মী গোষ্ঠী ‘এক্সটিঙ্কশন রিবিলিয়ন’ এই অভিনব প্রতিবাদ করেছে। তাদের কর্মীরা ঐতিহ্যবাহী ভেনিসীয় পোশাকে, মুখে সাদা রং মেখে, হাতে সংগঠনের পতাকা নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বিশ্বের ময়দানে জলবায়ু এখন বড় খেলা। ক্ষমতাধর দেশগুলো ঋণখেলাপি। আর এই ঋণ আদায় করে না নিলে কখনোই মিলবে না। জুলাই বিপ্লবের সাহস নিয়ে আমাদের বিশ্বের ময়দানে নেতৃত্ব দিতে হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে–নিরাপত্তা অর্জনের নামে পৃথিবীর নিরাপত্তা বিসর্জন দেওয়া চলে না। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা আজ মানবজাতির যৌথ নিরাপত্তার প্রশ্ন, অস্তিত্বের প্রশ্ন। সামরিক নির্গমন আড়ালে রেখে সেই লড়াই সফল হবে না–কোনওভাবেই না।

ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ থার্টি সম্মেলনে পরিবেশকর্মীরা বন ধ্বংস ও আদিবাসী অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনায় প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের কথা উপেক্ষিত হয়।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং কার্বন ব্রিফ-এর এক যৌথ প্রতিবেদন এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে জমা দেওয়া অপ্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রতিশ্রুত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিলের একটি বড় অংশ তেল-সমৃদ্ধ দেশগুলোর কাছে।

যুক্তরাজ্যের স্টার্টআপ ডিইএসসাইকেল (DEScycle) ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে নতুন পথ দেখাচ্ছে। তাদের তৈরি প্রযুক্তি বাতিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে মূল্যবান ধাতু ঘরোয়া তাপমাত্রায় আলাদা করতে পারে। এতে স্মেল্টিংয়ের মতো উচ্চ শক্তি খরচ হয় না এবং ঝুঁকিও কম।

যুক্তরাজ্যের স্টার্টআপ ডিইএসসাইকেল (DEScycle) ই-বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে নতুন পথ দেখাচ্ছে। তাদের তৈরি প্রযুক্তি বাতিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে মূল্যবান ধাতু ঘরোয়া তাপমাত্রায় আলাদা করতে পারে। এতে স্মেল্টিংয়ের মতো উচ্চ শক্তি খরচ হয় না এবং ঝুঁকিও কম।

ইকোনমিস্টের নিবন্ধ
২০১৪ সালের পর প্রথমবার চীনে বসতে যাওয়া এপেক শীর্ষ সম্মেলনকে চীনের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সি চান বিশ্ব বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো চীনকে তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করুক।

ইকোনমিস্টের নিবন্ধ
২০১৪ সালের পর প্রথমবার চীনে বসতে যাওয়া এপেক শীর্ষ সম্মেলনকে চীনের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সি চান বিশ্ব বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো চীনকে তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করুক।

অনেক স্বল্পোন্নত দেশ তাদের জলবায়ু অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেয়েছে ঋণের আকারে, যা পরিশোধের শর্ত তাদের আরও ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এবং অ্যাঙ্গোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঋণের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি।

অনেক স্বল্পোন্নত দেশ তাদের জলবায়ু অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেয়েছে ঋণের আকারে, যা পরিশোধের শর্ত তাদের আরও ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এবং অ্যাঙ্গোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঋণের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি।