সামদানী হক নাজুম, ঢাকা

একদিকে ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু, অন্যদিকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল রাজপথ।
এসব খবর প্রচারে যখন ব্যস্ত দেশের সংবামাধ্যমগুলোর বার্তাকক্ষ, ঠিক তখনই হামলা, লুটপাট এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে।
ঘটনার পর দিন শুক্রবার প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠান দুটির এই দুঃসময়ে সরকার তাদের পাশে আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য তার।
প্রতিষ্ঠান দুটিতে তাণ্ডবের পর দিন শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করতে পারেনি তারা। অনলাইন সংস্করণও বন্ধ প্রায়।

যেভাবে হামলা হলো
ওসমান হাদি হত্যার বিচার এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে প্রথমে কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে এবং পরে কাছের ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে এ হামলা চালায় একদল জনতা। শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তারা রাত ১২ টার দিকে প্রথমে হামলা চালায় প্রথম আলো কার্যালয়ে। প্রথম আলোর চার তলা ভবনের নিচতলার সার্টার ভেঙে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রথমার কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তলার প্রথম আলোর হিসাব বিভাগ, বিজ্ঞাপন ও বিপণন বিভাগ এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির কার্যালয়ে লুটপাটের পর আগুন দেয় জনতা।
পরের ধাপে ডেইলি স্টার
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রথম আলোতে হামলার পর তারা দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে যান। প্রথমে সড়ক থেকে ইংরেজি পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় ঢিল ছোড়া হয়। এরপর ভবনের গেট ভেঙে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা।

অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন ভবনে আটকে পড়া ডেইলি স্টারের সংবাদকর্মীরা। সেই সুযোগে পত্রিকাটি কার্যালয়ের কম্পিউটার, বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ মূল্যবান জিনিস লুট হয়। লুটপাট-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমটির কার্যালয়ে। দ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বহুতল ভবনটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায়। ছাদে আটকা পড়েন অন্তত ৩০ জন সংবাদকর্মী। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। একই সঙ্গে আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করেন তারা। এসময় আটকে পড়া ডেইলি স্টার কর্মীদের খোঁজ নিতে এসে ওই জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির। ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া সেনা সদস্য এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

শুক্রবার সকালে যা দেখা গেল
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারের প্রথম আলোর চার তলা ভবনটির কোন আসবাব অক্ষত নেই। আগুনের তাপ ছড়িয়েছে ভবনের প্রতিটি তলার ফ্লোর থেকে ছাদ পর্যন্ত। তৃতীয় তলার হিসাব বিভাগের লকারে থাকা অর্থ লুটের ঘটনাও ঘটেছে। চতুর্থ তলার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির কার্যালয়েও অক্ষত নেই কিছুই।
চরকির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চরচাকে জানান, আগেই অফিস আওয়ার শেষ হয়ে যাওয়ায় হামলার সময় চরকি কার্যালয়ে কোনো কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। দরজার তালা ভেঙে অফিসটিতে হামলা চালানো হয়। অফিসে কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ মূল্যবান সরঞ্জাম ছিল।
হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সুযোগ পায়নি বলে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রথম আলোর একজন সাংবাদিক চরচাকে বলেন, “ভবনটি তৃতীয় তলার হিসাব বিভাগ এবং দ্বিতীয় তলার বিজ্ঞাপন ও বিপণন শাখায় নগদ অর্থ ছিল। হামলার সময় যেহেতু কিছুই উদ্ধার করা যায়নি তাই ধারণা করা হচ্ছে সেসব অর্থ লুটপাট হয়েছে।”
শুক্রবার সকালে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে পুলিশি পাহারা লক্ষ্য করা যায়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে নানা আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার কিছুক্ষণ আগেই প্রথম আলোর কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তেজগাঁও থানা থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হন তারা।

ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে জনতা চলে যায়, দ্য ডেইলি স্টারের সামনে। সেখানেও তারা হাদি হত্যার বিচার এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে হামলা শুরু করে। হামলার মুখে সংবাদমধ্যমটির কর্মচারীরা ছাদে আশ্রয় নিলে প্রতিষ্ঠানটিতে চলে লুটপাট। ভবনটি তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আগুনের আঁচ না পৌঁছালেও অবশিষ্ট নেই কিছুই, অফিসে কম্পিউটার, নানা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস থেকে শুরু করে পানি পান করার মগও লুট হয়ে গেছে। হামলার ভয়াবহতা চোখে পড়ে ভবনের নিচতলার কার লিফটের দিকে তাকালে। কার লিফটের দরজাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ভাঙচুর লুটপাটের পর ভবনের নিচতলায় আগুন দেওয়া হলে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়। এরপর আগুনের শিখা পৌঁছায় পঞ্চম তলায়। এসময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও ডেইলি স্টারের সামনে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাধিক নেতা ঘটনাস্থলে এলে তাদের সহযোগিতায় জনতাকে কিছুটা শান্ত করে ভবনে আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফায়ার সার্ভিস।
ডেইলি স্টারের একজন জ্যেষ্ঠ চরচাকে বলেন, “ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত লুটপাট চালানো হয়। পরে আগুন দেওয়া হলে আগুনের আঁচ পাঁচতলায়ও স্পর্শ করে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে আরও কিছু সময় দেরি হলে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত।”

একদিকে ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হয়ে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু, অন্যদিকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল রাজপথ।
এসব খবর প্রচারে যখন ব্যস্ত দেশের সংবামাধ্যমগুলোর বার্তাকক্ষ, ঠিক তখনই হামলা, লুটপাট এবং আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটল দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে।
ঘটনার পর দিন শুক্রবার প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠান দুটির এই দুঃসময়ে সরকার তাদের পাশে আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য তার।
প্রতিষ্ঠান দুটিতে তাণ্ডবের পর দিন শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করতে পারেনি তারা। অনলাইন সংস্করণও বন্ধ প্রায়।

যেভাবে হামলা হলো
ওসমান হাদি হত্যার বিচার এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে প্রথমে কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে এবং পরে কাছের ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে এ হামলা চালায় একদল জনতা। শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে তারা রাত ১২ টার দিকে প্রথমে হামলা চালায় প্রথম আলো কার্যালয়ে। প্রথম আলোর চার তলা ভবনের নিচতলার সার্টার ভেঙে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রথমার কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তলার প্রথম আলোর হিসাব বিভাগ, বিজ্ঞাপন ও বিপণন বিভাগ এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির কার্যালয়ে লুটপাটের পর আগুন দেয় জনতা।
পরের ধাপে ডেইলি স্টার
এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রথম আলোতে হামলার পর তারা দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে যান। প্রথমে সড়ক থেকে ইংরেজি পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় ঢিল ছোড়া হয়। এরপর ভবনের গেট ভেঙে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা।

অতর্কিত হামলায় আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন ভবনে আটকে পড়া ডেইলি স্টারের সংবাদকর্মীরা। সেই সুযোগে পত্রিকাটি কার্যালয়ের কম্পিউটার, বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ মূল্যবান জিনিস লুট হয়। লুটপাট-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমটির কার্যালয়ে। দ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বহুতল ভবনটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায়। ছাদে আটকা পড়েন অন্তত ৩০ জন সংবাদকর্মী। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। একই সঙ্গে আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করেন তারা। এসময় আটকে পড়া ডেইলি স্টার কর্মীদের খোঁজ নিতে এসে ওই জনতার হাতে লাঞ্ছিত হন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবির। ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া সেনা সদস্য এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

শুক্রবার সকালে যা দেখা গেল
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারের প্রথম আলোর চার তলা ভবনটির কোন আসবাব অক্ষত নেই। আগুনের তাপ ছড়িয়েছে ভবনের প্রতিটি তলার ফ্লোর থেকে ছাদ পর্যন্ত। তৃতীয় তলার হিসাব বিভাগের লকারে থাকা অর্থ লুটের ঘটনাও ঘটেছে। চতুর্থ তলার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির কার্যালয়েও অক্ষত নেই কিছুই।
চরকির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা চরচাকে জানান, আগেই অফিস আওয়ার শেষ হয়ে যাওয়ায় হামলার সময় চরকি কার্যালয়ে কোনো কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। দরজার তালা ভেঙে অফিসটিতে হামলা চালানো হয়। অফিসে কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ মূল্যবান সরঞ্জাম ছিল।
হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার সুযোগ পায়নি বলে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রথম আলোর একজন সাংবাদিক চরচাকে বলেন, “ভবনটি তৃতীয় তলার হিসাব বিভাগ এবং দ্বিতীয় তলার বিজ্ঞাপন ও বিপণন শাখায় নগদ অর্থ ছিল। হামলার সময় যেহেতু কিছুই উদ্ধার করা যায়নি তাই ধারণা করা হচ্ছে সেসব অর্থ লুটপাট হয়েছে।”
শুক্রবার সকালে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে পুলিশি পাহারা লক্ষ্য করা যায়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে নানা আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার কিছুক্ষণ আগেই প্রথম আলোর কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তেজগাঁও থানা থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হন তারা।

ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে জনতা চলে যায়, দ্য ডেইলি স্টারের সামনে। সেখানেও তারা হাদি হত্যার বিচার এবং ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে হামলা শুরু করে। হামলার মুখে সংবাদমধ্যমটির কর্মচারীরা ছাদে আশ্রয় নিলে প্রতিষ্ঠানটিতে চলে লুটপাট। ভবনটি তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আগুনের আঁচ না পৌঁছালেও অবশিষ্ট নেই কিছুই, অফিসে কম্পিউটার, নানা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস থেকে শুরু করে পানি পান করার মগও লুট হয়ে গেছে। হামলার ভয়াবহতা চোখে পড়ে ভবনের নিচতলার কার লিফটের দিকে তাকালে। কার লিফটের দরজাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ভাঙচুর লুটপাটের পর ভবনের নিচতলায় আগুন দেওয়া হলে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় তলায়। এরপর আগুনের শিখা পৌঁছায় পঞ্চম তলায়। এসময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও ডেইলি স্টারের সামনে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাধিক নেতা ঘটনাস্থলে এলে তাদের সহযোগিতায় জনতাকে কিছুটা শান্ত করে ভবনে আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফায়ার সার্ভিস।
ডেইলি স্টারের একজন জ্যেষ্ঠ চরচাকে বলেন, “ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত লুটপাট চালানো হয়। পরে আগুন দেওয়া হলে আগুনের আঁচ পাঁচতলায়ও স্পর্শ করে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযানে আরও কিছু সময় দেরি হলে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত।”

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনাক্ত করা সেই মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। এখন দেখা যাচ্ছে হা