তাসীন মল্লিক

নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন। এ বিষয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে এ জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানায় ইসি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় নির্বাচন আয়োজনে মাঠপর্যায়ের নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বিশেষ করে নির্বাচনের জন্য বড় হুমকি হিসেবে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও তা উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। নির্বাচনকে ঘিরে নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ভূমিকার ওপর জোর দেন নির্বাচন কমিশনাররা।
এ সভায় ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, আট বিভাগীয় কমিশনার, আটজন ডিআইজি, ৬৪ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে আসন্ন নির্বাচনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণ’ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা কাজ না করলে আমার অথোরিটি কাজ করবে না। এই সিস্টেমটাকে ধরে রাখা, চালু রাখা এবং সিস্টেমটা যেন ডেলিভারি করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা অবৈধ অস্ত্রকে ভোটের মাঠের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন। তারা জানান, বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি শুধু নির্বাচনের পরিবেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ করছে না, বরং সহিংসতার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে সীমান্ত ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠনের তৎপরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে।
সমাপনী বক্তব্যে সিইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানের নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিইসি বলেন, “কমিউনাল হারমনি মাস্ট বি মেইনটেইন। প্রশাসন ও পুলিশকে এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনার আবুল মো. ফজল সানাউল্লাহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে আপনারা আইনগতভাবে কাজ চালিয়ে যান। ইসি আপনাদের সকল কাজের পেছনে দাঁড়াবে।”
সানাউল্লাহ বলেন, “স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটি পরিপত্র আশা করছি। এরপর জয়েন্ট অপারেশন শুরু হবে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত। এই অভিযানের লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, অন্তত এলাকা ছাড়া করা এবং ভোটের নিরাপদ আবহ তৈরি করা।”
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা বেগম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। অপর কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ নির্বাচন পরিচালনাবিধি ও ম্যানুয়াল অনুসরণে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারও সভায় বক্তব্য রাখেন।
অস্ত্র-সীমান্ত নিয়ে সরব প্রশাসন
আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে তিনটি চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করেছে ইসি। এগুলো হলো–অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপতথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার। এর মধ্যে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোকতার আহমেদ বলেন, “এই নির্বাচনে চ্যালেঞ্জিং তিনটি ফ্যাক্টরের মধ্যে প্রথমটি হলো অবৈধ অস্ত্র। এগুলো উদ্ধার করতেই হবে।”
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নির্বাচন কমিশনের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নজরদারি জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। আর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ভোট বাতিল হবে কিনা–এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশের অবস্থান
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা পেলে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায়।”
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করবে।”
তবে নির্বাচন ঘিরে অপতথ্যের প্রসঙ্গ উঠে আসে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশের কথায়। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেতিবাচক প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “এসবের লক্ষ্য ভোটার উপস্থিতি কমানো।”
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান সীমান্ত এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী একই দিনে একাধিক ভোট হওয়ায় সময় ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।

নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন। এ বিষয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে এ জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানায় ইসি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় নির্বাচন আয়োজনে মাঠপর্যায়ের নানা সংকট ও চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বিশেষ করে নির্বাচনের জন্য বড় হুমকি হিসেবে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও তা উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। নির্বাচনকে ঘিরে নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ভূমিকার ওপর জোর দেন নির্বাচন কমিশনাররা।
এ সভায় ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, আট বিভাগীয় কমিশনার, আটজন ডিআইজি, ৬৪ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে আসন্ন নির্বাচনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণ’ উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা কাজ না করলে আমার অথোরিটি কাজ করবে না। এই সিস্টেমটাকে ধরে রাখা, চালু রাখা এবং সিস্টেমটা যেন ডেলিভারি করতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা অবৈধ অস্ত্রকে ভোটের মাঠের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন। তারা জানান, বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি শুধু নির্বাচনের পরিবেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ করছে না, বরং সহিংসতার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে সীমান্ত ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠনের তৎপরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে আসে।
সমাপনী বক্তব্যে সিইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানের নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিইসি বলেন, “কমিউনাল হারমনি মাস্ট বি মেইনটেইন। প্রশাসন ও পুলিশকে এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনার আবুল মো. ফজল সানাউল্লাহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিতে আপনারা আইনগতভাবে কাজ চালিয়ে যান। ইসি আপনাদের সকল কাজের পেছনে দাঁড়াবে।”
সানাউল্লাহ বলেন, “স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটি পরিপত্র আশা করছি। এরপর জয়েন্ট অপারেশন শুরু হবে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত। এই অভিযানের লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, অন্তত এলাকা ছাড়া করা এবং ভোটের নিরাপদ আবহ তৈরি করা।”
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা বেগম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। অপর কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ নির্বাচন পরিচালনাবিধি ও ম্যানুয়াল অনুসরণে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারও সভায় বক্তব্য রাখেন।
অস্ত্র-সীমান্ত নিয়ে সরব প্রশাসন
আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে তিনটি চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করেছে ইসি। এগুলো হলো–অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অপতথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার। এর মধ্যে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোকতার আহমেদ বলেন, “এই নির্বাচনে চ্যালেঞ্জিং তিনটি ফ্যাক্টরের মধ্যে প্রথমটি হলো অবৈধ অস্ত্র। এগুলো উদ্ধার করতেই হবে।”
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নির্বাচন কমিশনের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নজরদারি জোরদারের আহ্বান জানান। তিনি গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেন। আর সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়া পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে ভোট বাতিল হবে কিনা–এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশের অবস্থান
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা পেলে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায়।”
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করবে।”
তবে নির্বাচন ঘিরে অপতথ্যের প্রসঙ্গ উঠে আসে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশের কথায়। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নেতিবাচক প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “এসবের লক্ষ্য ভোটার উপস্থিতি কমানো।”
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান সীমান্ত এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী একই দিনে একাধিক ভোট হওয়ায় সময় ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ক্রমশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ অবস্থায় খোদ নির্বাচন নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা করছেন, ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা কেটে যাবে।