চরচা ডেস্ক

৬০ বছর বয়সে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? বিজ্ঞান বলছে, এই বয়সেই অনেকে জীবনের শীর্ষে পৌঁছান। যৌবন যখন ক্রমে অতীত হয়ে যায়, তখন অনেকে বয়স বাড়া নিয়ে ভয় পেতে শুরু করেন। কিন্তু ইন্টেলিজেন্স জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা বলছে–উল্টোটা ভাবারও যথেষ্ট কারণ আছে। অনেকের ক্ষেত্রেই ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে সামগ্রিক মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। এই তথ্যটি বোঝায় কেন এই বয়সের মানুষরা কর্মজীবনে জটিল সমস্যার সমাধান ও নেতৃত্বের জায়গায় প্রায়শই সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠেন।
নানা রকম ‘শীর্ষে পৌঁছানো’
গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে মানুষ সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে নিজের চূড়ায় পৌঁছায়। একই ভাবে বহু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা–অর্থাৎ যুক্তি দেওয়া, তথ্য মনে রাখা ও দ্রুত বিশ্লেষণ করার দক্ষতা–প্রায়শই ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়সের পর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
বাস্তব উদাহরণও তা প্রমাণ করে। ক্রীড়াবিদরা সাধারণত ৩০-এর আগে সেরা ফর্মে থাকেন। গণিতবিদেরা বড় বড় অবদান রাখেন ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। দাবা চ্যাম্পিয়নরাও সচরাচর ৪০ পেরিয়ে শীর্ষে থাকতে পারেন না। তবে যদি আমরা কেবল মানসিক প্রক্রিয়াকরণের গতি ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত দিকগুলো দেখি, তাহলে একেবারেই ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়।
যুক্তি থেকে আবেগের স্থিতিশীলতা
গবেষণায় আমরা শুধু যুক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এমন কিছু মানসিক গুণের ওপর মনোযোগ দিয়েছি, যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী, সঠিকভাবে পরিমাপযোগ্য, বয়স অনুযায়ী পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা রয়েছে এবং বাস্তব জীবনের সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমরা ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ছিল, যুক্তি, স্মৃতিশক্তি, তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, জ্ঞান ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা। পাশাপাশি ছিল বিখ্যাত ‘বিগ ফাইভ’ ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্য: বহির্মুখিতা, আবেগীয় স্থিতিশীলতা, দায়িত্ববোধ, নতুন অভিজ্ঞতা গ্রহণে উন্মুক্ততা ও সৌহার্দ্য।
বড় আকারের বহু গবেষণা বিশ্লেষণ করে আমরা এই ১৬টি বৈশিষ্ট্যের বয়সভিত্তিক পরিবর্তন তুলনামূলকভাবে মানচিত্রে এঁকেছি।
জীবনের পরের দিকে উন্নতি
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর অনেকগুলোই জীবনের পরের পর্যায়ে গিয়ে চূড়ায় ওঠে। যেমন, দায়িত্ববোধ প্রায় ৬৫ বছর বয়সে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। আবেগীয় স্থিতিশীলতা প্রায় ৭৫ বছর বয়সে গিয়ে শীর্ষে ওঠে।
মৌলিক নৈতিক যুক্তি বা জ্ঞানগত পক্ষপাত প্রতিরোধের ক্ষমতার মতো বিষয়গুলোও প্রৌঢ় বয়সে আরও উন্নত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত এই উন্নতি চলতে পারে।
সবগুলো বৈশিষ্ট্যের গড় মিলিয়ে একত্রে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সামগ্রিক মানসিক কার্যকারিতা ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে। এরপর প্রায় ৬৫ থেকে ধীরে ধীরে পতন শুরু হয়, যা ৭৫-এর পর স্পষ্টত দ্রুত হয়।

বয়সভিত্তিক ধারণা ভাঙার সময় এসেছে
এই ফলাফল ব্যাখ্যা করে কেন ব্যবসা, রাজনীতি বা জনজীবনের সবচেয়ে জটিল নেতৃত্বের দায়িত্বগুলো প্রায়শই পঞ্চাশোর্ধদের হাতে থাকে। যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানসিক দক্ষতা কমে যায়, তবুও অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো আরও পরিপক্ব হয়। ফলস্বরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিরতা ও বিচক্ষণতা বাড়ে, যা নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।
তবু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি হারানোদের আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। কিছুটা কাঠামোগত কারণও আছে। যেমন, অনেক নিয়োগকর্তা মনে করেন ৫৫ বছরের কাউকে নেওয়া মানে অল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ, কারণ তার অবসরের সময় কাছে চলে আসে।
কিছু পেশায় আবার বাধ্যতামূলক অবসরের নিয়মও আছে। যেমন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও) আন্তর্জাতিক পাইলটদের অবসর বয়স ৬৫ নির্ধারণ করেছে। বহু দেশে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ৫৬ থেকে ৬০-এর মধ্যে অবসর নিতে হয়। যেহেতু এসব পেশায় স্মৃতি ও মনোযোগের উচ্চমাত্রার প্রয়োজন, তাই বয়সসীমা অনেক সময় যৌক্তিক ধরা হয়।
তবে সবার অভিজ্ঞতা এক নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ কেউ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি ও স্মৃতিশক্তি হারালেও, অনেকে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অক্ষুণ্ণ রাখেন। অতএব, বয়স একাই কারও সামগ্রিক মানসিক দক্ষতা নির্ধারণ করে না। তাই মূল্যায়ন হওয়া উচিত ব্যক্তির প্রকৃত ক্ষমতার ভিত্তিতে, বয়সের ভিত্তিতে নয়।
বয়স নয়, এটি শিখরে ওঠা
সব মিলিয়ে এই গবেষণা বলছে, কর্মক্ষেত্রে বয়সভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়ন প্রয়োজন। জীবনের মধ্য বয়সে মানুষ আসলে তাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য ও পরিপক্বতার সমন্বয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
চার্লস ডারউইন ৫০ বছর বয়সে প্রকাশ করেন ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’। ৫৩ বছর বয়সে শ্রবণশক্তিহীন লুডভিগ ভান বেটোফেন রচনা করেন তার নবম সিম্ফনি। সাম্প্রতিক সময়ে, ৫৫ বছর বয়সে লিসা সু নেতৃত্ব দিয়েছেন কম্পিউটার কোম্পানি এমএডি-কে শিল্পের অন্যতম বড় প্রযুক্তিগত রূপান্তরের পথে।
ইতিহাস এমন উদাহরণে ভরপুর। যেখানে মানুষ জীবনের তথাকথিত ‘শীর্ষ বয়স’ পেরিয়ে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছেন। সম্ভবত এখন সময় এসেছে, মধ্য বয়সকে অবসানের কাউন্টডাউন হিসেবে নয়, বরং জীবনের আসল শিখর হিসেবে দেখতে শেখার।
(কনভারসেশন ডট কম অবলম্বনে)

৬০ বছর বয়সে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? বিজ্ঞান বলছে, এই বয়সেই অনেকে জীবনের শীর্ষে পৌঁছান। যৌবন যখন ক্রমে অতীত হয়ে যায়, তখন অনেকে বয়স বাড়া নিয়ে ভয় পেতে শুরু করেন। কিন্তু ইন্টেলিজেন্স জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণা বলছে–উল্টোটা ভাবারও যথেষ্ট কারণ আছে। অনেকের ক্ষেত্রেই ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে সামগ্রিক মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। এই তথ্যটি বোঝায় কেন এই বয়সের মানুষরা কর্মজীবনে জটিল সমস্যার সমাধান ও নেতৃত্বের জায়গায় প্রায়শই সবচেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠেন।
নানা রকম ‘শীর্ষে পৌঁছানো’
গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে মানুষ সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে নিজের চূড়ায় পৌঁছায়। একই ভাবে বহু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা–অর্থাৎ যুক্তি দেওয়া, তথ্য মনে রাখা ও দ্রুত বিশ্লেষণ করার দক্ষতা–প্রায়শই ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়সের পর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
বাস্তব উদাহরণও তা প্রমাণ করে। ক্রীড়াবিদরা সাধারণত ৩০-এর আগে সেরা ফর্মে থাকেন। গণিতবিদেরা বড় বড় অবদান রাখেন ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। দাবা চ্যাম্পিয়নরাও সচরাচর ৪০ পেরিয়ে শীর্ষে থাকতে পারেন না। তবে যদি আমরা কেবল মানসিক প্রক্রিয়াকরণের গতি ছাড়িয়ে আরও বিস্তৃত দিকগুলো দেখি, তাহলে একেবারেই ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়।
যুক্তি থেকে আবেগের স্থিতিশীলতা
গবেষণায় আমরা শুধু যুক্তি বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে এমন কিছু মানসিক গুণের ওপর মনোযোগ দিয়েছি, যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী, সঠিকভাবে পরিমাপযোগ্য, বয়স অনুযায়ী পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা রয়েছে এবং বাস্তব জীবনের সাফল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আমরা ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে ছিল, যুক্তি, স্মৃতিশক্তি, তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি, জ্ঞান ও আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা। পাশাপাশি ছিল বিখ্যাত ‘বিগ ফাইভ’ ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্য: বহির্মুখিতা, আবেগীয় স্থিতিশীলতা, দায়িত্ববোধ, নতুন অভিজ্ঞতা গ্রহণে উন্মুক্ততা ও সৌহার্দ্য।
বড় আকারের বহু গবেষণা বিশ্লেষণ করে আমরা এই ১৬টি বৈশিষ্ট্যের বয়সভিত্তিক পরিবর্তন তুলনামূলকভাবে মানচিত্রে এঁকেছি।
জীবনের পরের দিকে উন্নতি
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর অনেকগুলোই জীবনের পরের পর্যায়ে গিয়ে চূড়ায় ওঠে। যেমন, দায়িত্ববোধ প্রায় ৬৫ বছর বয়সে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। আবেগীয় স্থিতিশীলতা প্রায় ৭৫ বছর বয়সে গিয়ে শীর্ষে ওঠে।
মৌলিক নৈতিক যুক্তি বা জ্ঞানগত পক্ষপাত প্রতিরোধের ক্ষমতার মতো বিষয়গুলোও প্রৌঢ় বয়সে আরও উন্নত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত এই উন্নতি চলতে পারে।
সবগুলো বৈশিষ্ট্যের গড় মিলিয়ে একত্রে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, সামগ্রিক মানসিক কার্যকারিতা ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে। এরপর প্রায় ৬৫ থেকে ধীরে ধীরে পতন শুরু হয়, যা ৭৫-এর পর স্পষ্টত দ্রুত হয়।

বয়সভিত্তিক ধারণা ভাঙার সময় এসেছে
এই ফলাফল ব্যাখ্যা করে কেন ব্যবসা, রাজনীতি বা জনজীবনের সবচেয়ে জটিল নেতৃত্বের দায়িত্বগুলো প্রায়শই পঞ্চাশোর্ধদের হাতে থাকে। যদিও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানসিক দক্ষতা কমে যায়, তবুও অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো আরও পরিপক্ব হয়। ফলস্বরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থিরতা ও বিচক্ষণতা বাড়ে, যা নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।
তবু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি হারানোদের আবার কর্মক্ষেত্রে ফিরতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। কিছুটা কাঠামোগত কারণও আছে। যেমন, অনেক নিয়োগকর্তা মনে করেন ৫৫ বছরের কাউকে নেওয়া মানে অল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ, কারণ তার অবসরের সময় কাছে চলে আসে।
কিছু পেশায় আবার বাধ্যতামূলক অবসরের নিয়মও আছে। যেমন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান সংস্থা (আইসিএও) আন্তর্জাতিক পাইলটদের অবসর বয়স ৬৫ নির্ধারণ করেছে। বহু দেশে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ৫৬ থেকে ৬০-এর মধ্যে অবসর নিতে হয়। যেহেতু এসব পেশায় স্মৃতি ও মনোযোগের উচ্চমাত্রার প্রয়োজন, তাই বয়সসীমা অনেক সময় যৌক্তিক ধরা হয়।
তবে সবার অভিজ্ঞতা এক নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ কেউ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তি ও স্মৃতিশক্তি হারালেও, অনেকে সেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অক্ষুণ্ণ রাখেন। অতএব, বয়স একাই কারও সামগ্রিক মানসিক দক্ষতা নির্ধারণ করে না। তাই মূল্যায়ন হওয়া উচিত ব্যক্তির প্রকৃত ক্ষমতার ভিত্তিতে, বয়সের ভিত্তিতে নয়।
বয়স নয়, এটি শিখরে ওঠা
সব মিলিয়ে এই গবেষণা বলছে, কর্মক্ষেত্রে বয়সভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়ন প্রয়োজন। জীবনের মধ্য বয়সে মানুষ আসলে তাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য ও পরিপক্বতার সমন্বয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
চার্লস ডারউইন ৫০ বছর বয়সে প্রকাশ করেন ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’। ৫৩ বছর বয়সে শ্রবণশক্তিহীন লুডভিগ ভান বেটোফেন রচনা করেন তার নবম সিম্ফনি। সাম্প্রতিক সময়ে, ৫৫ বছর বয়সে লিসা সু নেতৃত্ব দিয়েছেন কম্পিউটার কোম্পানি এমএডি-কে শিল্পের অন্যতম বড় প্রযুক্তিগত রূপান্তরের পথে।
ইতিহাস এমন উদাহরণে ভরপুর। যেখানে মানুষ জীবনের তথাকথিত ‘শীর্ষ বয়স’ পেরিয়ে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছেন। সম্ভবত এখন সময় এসেছে, মধ্য বয়সকে অবসানের কাউন্টডাউন হিসেবে নয়, বরং জীবনের আসল শিখর হিসেবে দেখতে শেখার।
(কনভারসেশন ডট কম অবলম্বনে)