চরচা ডেস্ক

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমেরিকার ছোট শহর টাম্পায় ছয় শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ে না। ‘মাইক্রোস্কুল’ বা ‘কো-অপ’ পদ্ধতিতে তারা পড়াশোনা করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
‘মাইক্রোস্কুল’ বা ‘কো-অপ’ পদ্ধতিতে আট হাজার ডলারের সরকারি ভাউচারের মাধ্যমে অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের একটি তালিকা তৈরি করেন। এ ব্যবস্থায় হোমস্কুল এবং চার্টার স্কুল মডেলও এক সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেখানে বীজগণিত, বনবিদ্যা বা কারাতের মতো বিষয়গুলোতে আলাদা ক্লাস সংযুক্ত থাকে। টাম্পা এলাকায় এক হাজারের বেশি সংস্থা এই নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

টাম্পা শহরটি হিলসবরো কাউন্টিতে অবস্থিত। রাজ্যটিতে প্রতি ১৫ জন শিশুর মধ্যে একজন হোমস্কুলিং করছে। ২০২৫ সালে কাউন্টির পাবলিক স্কুলগুলো ‘ডি-স্কুলিং’ এবং অন্যান্য স্কুল পদ্ধতির কারণে সাত হাজার শিক্ষার্থী হারিয়েছে।
করোনা মহামারির পরে বেশিরভাগ রাজ্যেই শিক্ষার্থীরা পাবলিক স্কুলে ফিরে গিয়েছিল, ফ্লোরিডায় তেমনটা হয়নি। মাত্র পাঁচ বছরে এখানে হোমস্কুল করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭% বেড়ে দেড় লাখের বেশি হয়ে যায়। ২০২৩ সালে রাজ্যে স্কুল-চয়েস প্রোগ্রাম এই পরিবর্তনের মূল কারণ।
আরবান কটেজ নামের একটি মাইক্রোস্কুলে শিক্ষার্থীরা মন্টেসরি পদ্ধতিতে ক্লাস করে। কার্সিভ লেখা এবং কাঠের পুঁতি দিয়ে গণিত শেখান হয় পদ্ধতিটিতে।
স্কুলের পরিচালক মারিসা হেস বলেন, ‘‘আমেরিকান পাবলিক স্কুল গত ৩০ বছরে আমাদের ব্যর্থ করেছে।” তিনি বিশ্বাস করেন মুক্ত পুঁজিবাদই এই সমস্যার সেরা সমাধান।
অন্যদিকে, টাম্পা কভন্যান্টে একটি মাইক্রোস্কুলে ব্যক্তিগত অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ক্লাস করানো হয়। অপরদিকে, ফার্ম স্কুলগুলোতে শিশুরা গবাদি পশুর যত্ন নেওয়া শেখে। বহু পরিবারই এখন আরও বেশি পারিবারিক সময়, খেলাধুলা এবং প্রকৃতিতে সময় কাটানোর সময় পায়।
এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রথাগত স্কুলগুলোকে প্রভাবিত করছে। এখন বেসরকারি স্কুলগুলোও হোমস্কুলিং করার কথা বলছে। অপরদিকে পাবলিক স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীদেরকে অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তিগত কোর্সে সুযোগ দিচ্ছে।
তবে শিক্ষা গবেষকরা এই পরিবর্তন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাঞ্জেলা ওয়াটসন বলেন, “যদিও বেশিরভাগ রাজ্য হোমস্কুলারদের জন্য মূল বিষয়গুলো (গণিত, ইতিহাস) বাধ্যতামূলক করেছে। তবে ফ্লোরিডাসহ বহু রাজ্যেই তা প্রয়োগ করা হয় না।”
শিক্ষা গবেষক জানান, রাজ্যের ভর্তুকি পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবকরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করছেন। যেখানে নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন, ডিজনি ওয়ার্ল্ড পাস এবং হোম-জিমগুলোকে ‘শিক্ষামূলক উপকরণ’ হিসেবে অর্থ ফেরত পাওয়ার কথা বলছেন।

পদ্ধটিতে ছাত্র-ছাত্রীরা মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও বেশিরভাগ রাজ্য হোমস্কুলারদেরকে গণিত এবং ইতিহাসের মতো মূল বিষয়গুলো শেখানোর জন্য বাধ্য করে।
পরীক্ষার ফলাফল থেকে বোঝা যাবে মূলত শিক্ষার্থীরা শিখছে কিনা। তবে হোমস্কুলারদের পরীক্ষার ফলাফল খুব কম বা কখনোই প্রকাশিত হয় না।
থিংক-ট্যাঙ্ক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জন ভ্যালান্ট বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন আমরা এমন শিক্ষার জন্য সরকারি তহবিল ব্যবহার করব, যার কোনো আসল গুণমান নিয়ন্ত্রণ নেই।”

এ পদ্ধতি শিক্ষাব্যবস্থায় কতটা উপযোগী হবে তা বুঝে ওঠার জন্য এখনও সময়ের প্রয়োজন। তবে প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে আধুনিক এসকল পদ্ধতি আমেরিকার শিক্ষাখাতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানা ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আমেরিকার ছোট শহর টাম্পায় ছয় শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ে না। ‘মাইক্রোস্কুল’ বা ‘কো-অপ’ পদ্ধতিতে তারা পড়াশোনা করছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিস্টের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
‘মাইক্রোস্কুল’ বা ‘কো-অপ’ পদ্ধতিতে আট হাজার ডলারের সরকারি ভাউচারের মাধ্যমে অভিভাবকরা সন্তানদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের একটি তালিকা তৈরি করেন। এ ব্যবস্থায় হোমস্কুল এবং চার্টার স্কুল মডেলও এক সঙ্গে যুক্ত থাকে। যেখানে বীজগণিত, বনবিদ্যা বা কারাতের মতো বিষয়গুলোতে আলাদা ক্লাস সংযুক্ত থাকে। টাম্পা এলাকায় এক হাজারের বেশি সংস্থা এই নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করছে।

টাম্পা শহরটি হিলসবরো কাউন্টিতে অবস্থিত। রাজ্যটিতে প্রতি ১৫ জন শিশুর মধ্যে একজন হোমস্কুলিং করছে। ২০২৫ সালে কাউন্টির পাবলিক স্কুলগুলো ‘ডি-স্কুলিং’ এবং অন্যান্য স্কুল পদ্ধতির কারণে সাত হাজার শিক্ষার্থী হারিয়েছে।
করোনা মহামারির পরে বেশিরভাগ রাজ্যেই শিক্ষার্থীরা পাবলিক স্কুলে ফিরে গিয়েছিল, ফ্লোরিডায় তেমনটা হয়নি। মাত্র পাঁচ বছরে এখানে হোমস্কুল করা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭% বেড়ে দেড় লাখের বেশি হয়ে যায়। ২০২৩ সালে রাজ্যে স্কুল-চয়েস প্রোগ্রাম এই পরিবর্তনের মূল কারণ।
আরবান কটেজ নামের একটি মাইক্রোস্কুলে শিক্ষার্থীরা মন্টেসরি পদ্ধতিতে ক্লাস করে। কার্সিভ লেখা এবং কাঠের পুঁতি দিয়ে গণিত শেখান হয় পদ্ধতিটিতে।
স্কুলের পরিচালক মারিসা হেস বলেন, ‘‘আমেরিকান পাবলিক স্কুল গত ৩০ বছরে আমাদের ব্যর্থ করেছে।” তিনি বিশ্বাস করেন মুক্ত পুঁজিবাদই এই সমস্যার সেরা সমাধান।
অন্যদিকে, টাম্পা কভন্যান্টে একটি মাইক্রোস্কুলে ব্যক্তিগত অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ক্লাস করানো হয়। অপরদিকে, ফার্ম স্কুলগুলোতে শিশুরা গবাদি পশুর যত্ন নেওয়া শেখে। বহু পরিবারই এখন আরও বেশি পারিবারিক সময়, খেলাধুলা এবং প্রকৃতিতে সময় কাটানোর সময় পায়।
এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রথাগত স্কুলগুলোকে প্রভাবিত করছে। এখন বেসরকারি স্কুলগুলোও হোমস্কুলিং করার কথা বলছে। অপরদিকে পাবলিক স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীদেরকে অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তিগত কোর্সে সুযোগ দিচ্ছে।
তবে শিক্ষা গবেষকরা এই পরিবর্তন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাঞ্জেলা ওয়াটসন বলেন, “যদিও বেশিরভাগ রাজ্য হোমস্কুলারদের জন্য মূল বিষয়গুলো (গণিত, ইতিহাস) বাধ্যতামূলক করেছে। তবে ফ্লোরিডাসহ বহু রাজ্যেই তা প্রয়োগ করা হয় না।”
শিক্ষা গবেষক জানান, রাজ্যের ভর্তুকি পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবকরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করছেন। যেখানে নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন, ডিজনি ওয়ার্ল্ড পাস এবং হোম-জিমগুলোকে ‘শিক্ষামূলক উপকরণ’ হিসেবে অর্থ ফেরত পাওয়ার কথা বলছেন।

পদ্ধটিতে ছাত্র-ছাত্রীরা মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও বেশিরভাগ রাজ্য হোমস্কুলারদেরকে গণিত এবং ইতিহাসের মতো মূল বিষয়গুলো শেখানোর জন্য বাধ্য করে।
পরীক্ষার ফলাফল থেকে বোঝা যাবে মূলত শিক্ষার্থীরা শিখছে কিনা। তবে হোমস্কুলারদের পরীক্ষার ফলাফল খুব কম বা কখনোই প্রকাশিত হয় না।
থিংক-ট্যাঙ্ক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জন ভ্যালান্ট বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন আমরা এমন শিক্ষার জন্য সরকারি তহবিল ব্যবহার করব, যার কোনো আসল গুণমান নিয়ন্ত্রণ নেই।”

এ পদ্ধতি শিক্ষাব্যবস্থায় কতটা উপযোগী হবে তা বুঝে ওঠার জন্য এখনও সময়ের প্রয়োজন। তবে প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে আধুনিক এসকল পদ্ধতি আমেরিকার শিক্ষাখাতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

চীন বর্তমানে তার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বিতর্কিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি নির্মাণ করছে। আর সেটি হলো ইয়ারলুং জাংবো নদের ওপর একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এই প্রকল্পের প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশের ওপর সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মানুষের জীবন ও পরিবেশের