
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার জন্য প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে একটি তহবিল গঠনের কথা বলা হয়। এ তহবিল এখন বাস্তব। বাংলাদেশড়সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু এ সহায়তার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এর পরিমাণ নিয়েও।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনের (কপ) ৩০তম আসর শেষ হয় গত ২১ নভেম্বর। সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল দেশে ফেরে ২৩ নভেম্বর, ঠিক যেদিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশের রাজধানীতে দূষণ থাকবে না–এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু এটা একটা বৈপরীত্যকে সামনে আনে।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার বিখ্যাত ভিমরুলী বাজার, এর চারপাশের দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ, জলময় খালে পেয়ারা অথবা আমড়ায় ঠাঁসা অসংখ্য ভাসমান ডিঙি নৌকা আর চাষী-কারবারিদের কর্মচাঞ্চল্য যেকোনো পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

বিশ্বের ময়দানে জলবায়ু এখন বড় খেলা। ক্ষমতাধর দেশগুলো ঋণখেলাপি। আর এই ঋণ আদায় করে না নিলে কখনোই মিলবে না। জুলাই বিপ্লবের সাহস নিয়ে আমাদের বিশ্বের ময়দানে নেতৃত্ব দিতে হবে।

আমরা এখন এটা দেখতে শুধু অপেক্ষা করতে পারি– জেন-জি আন্দোলন কীভাবে পৃথিবীকে গড়ে তোলে। মানবজাতির জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মোকাবিলা।

আমাদের মনে রাখতে হবে–নিরাপত্তা অর্জনের নামে পৃথিবীর নিরাপত্তা বিসর্জন দেওয়া চলে না। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা আজ মানবজাতির যৌথ নিরাপত্তার প্রশ্ন, অস্তিত্বের প্রশ্ন। সামরিক নির্গমন আড়ালে রেখে সেই লড়াই সফল হবে না–কোনওভাবেই না।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। চলতি বছর ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ থার্টি জলবায়ু সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, জলবায়ু সমস্যা সমাধানের একটি বিশাল হাতিয়ারকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আর সেই হাতিয়ারটি হলো–মাটি!

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং কার্বন ব্রিফ-এর এক যৌথ প্রতিবেদন এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে জমা দেওয়া অপ্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তাদের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রতিশ্রুত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিলের একটি বড় অংশ তেল-সমৃদ্ধ দেশগুলোর কাছে।

অনেক স্বল্পোন্নত দেশ তাদের জলবায়ু অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেয়েছে ঋণের আকারে, যা পরিশোধের শর্ত তাদের আরও ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এবং অ্যাঙ্গোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঋণের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি।

অনেক স্বল্পোন্নত দেশ তাদের জলবায়ু অর্থের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পেয়েছে ঋণের আকারে, যা পরিশোধের শর্ত তাদের আরও ঋণের ফাঁদে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশ এবং অ্যাঙ্গোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঋণের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি।

বাঁধ নির্মাণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উন্নতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজনমূলক উদ্যোগ নিয়ে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেজন্য বাংলাদেশকে টিকে থাকার থাকার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রায়ই তুলে ধরা হয়।

বাঁধ নির্মাণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উন্নতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজনমূলক উদ্যোগ নিয়ে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেজন্য বাংলাদেশকে টিকে থাকার থাকার দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রায়ই তুলে ধরা হয়।

“জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় প্রকল্পগুলোর অগ্রাধিকার স্পষ্ট করা জরুরি।”

“জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় প্রকল্পগুলোর অগ্রাধিকার স্পষ্ট করা জরুরি।”