কোভিড মহামারি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, জীবন আর কাজের ভারসাম্য বলতে কী বোঝায়। আগে প্রশ্ন ছিল, ‘জীবনকে কীভাবে কাজের মধ্যে ফিট করাব?’ এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। এখন বেশিরভাগ কর্মীরা কাজকে জীবনের মধ্যে ফিট করাতে চায়।
বিভিন্ন অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মীকে মাল্টিটাস্কার হওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া কিন্তু আসলেই কি তা-ই? মাল্টিটাস্কিং কি আমাদের দক্ষতা বাড়ায়, নাকি উল্টো কমিয়ে দেয়?
অথচ আগের প্রজন্মের কাছে নেতৃত্বের চেয়ারে বসা মানেই ছিল সাফল্যের সবচেয়ে বড় পরিচয়। তাহলে এই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি এত আলাদা হলো কীভাবে?
কর্মসংস্কৃতিতে এখনো ‘সব ঠিক আছে’ ভাব দেখানো এক ধরনের অঘোষিত নিয়ম হয়ে আছে। অনেকে ভাবেন দুর্বলতা দেখালে চাকরি বা সম্মান হারাতে পারেন। এই ধারণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একেবারেই অমূলক নয়।
বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানেই এআই ব্যবহারে কর্মীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে।