বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, বিপাকে জনজীবন

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, বিপাকে জনজীবন
বরিশালে ১২ দশমিক ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড। ছবি: চরচা

চলতি মৌসুমে বরিশালে টানা তিন দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিস জেলায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন।

গতকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫০ ডিগ্রি এবং গত বুধবার ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় পুরো জেলা কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। সঙ্গে ছিল হিমেল বাতাস। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ, রিকশা ও অটোরিকশাচালক, দিনমজুর এবং বয়স্করা।

শীতের প্রভাবে গত কয়েক দিন ধরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ৪১ শয্যার বিপরীতে ৩০০ শিশু ভর্তি রয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাজাহারুল ইসলাম জানান, সকালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ডিসেম্বরের এই সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক এবং আগামী কয়েক দিন এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আপাতত কোনো শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।

নগরীর বাংলাবাজার এলাকার অটোরিকশাচালক রানা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা এত বেশি যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। লোকজনও কম বের হচ্ছে, ফলে আয় অনেক কমে গেছে।

একই কথা জানান বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকার অটোরিকশাচালক কবির হোসেন। তিনি বলেন, “আজ শীত বেশি পড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জড়ো হয়ে আসছে। শীতের তীব্রতায় গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কম। যাত্রী তেমন একটা পাচ্ছি না। আরও দু-একদিন এমন অবস্থা চললে আয়-রোজগারের অভাবে সংসারে টান পড়বে।”

আরেক আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে থাকে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও সামান্য কমতে পারে, এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন।

সম্পর্কিত