চরচা প্রতিবেদক

ঢাকায় বাসা-বাড়ি বলতে তেমন কিছু নেই বেলাল মিয়ার। ৩৭ বছর ধরে গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা রোড এলাকায় হকারি করছেন। বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। আজ রোববার দুপুরে একটা সিগারেট হাতে মনোযোগ দিয়ে উদীচীর পোড়া ভবনটি দেখছে।
এতো মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, তিনি জানতেন না এইটা সেই উদীচীর কার্যালয়। উদীচীকে তিনি চিনেন, জানেন। এই সংগঠন তাকে মানুষের কথা ভাবতে শিখিয়েছে। এর সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। কীভাবে এই সম্পর্ক তৈরী হলো, জানতে চাইলে বললেন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এই উদীচীর শিল্পীদের তিনি শহীদ মিনারে দেখেছেন দল বেঁধে দেশের গান গাইতে।
তাদের মুখে মানুষের অধিকারের কথা বলতে শুনেছেন তিনি। বললেন, এই উদীচীর কারণেই পথ নাটকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। শুধু ঢাকায় না, ফরিদপুরেও তিনি উদীচীর মঞ্চের দর্শকের কাতারে বসেছেন বহুবার।
“সরকার চালি (চাইলে) এই হামলা চালাতি (চালাতে) পারতো না সন্ত্রাসীরা।” স্বগোক্তির মতো করে এ কথা বলে উদীচীর সামনে থেকে সরে যান বেলাল মিয়া।
কলাপসেবল গেট তালা দিয়ে ভেতরে চলছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব। চলছে মামলা করার প্রস্তুতি (রোববার সন্ধ্যা)। বাইরে অলস বসে আছে পুলিশের কয়েকজন সদস্য। উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পোড়া গন্ধ বাইরে থেকেই পাওয়া যায়। বই, বাদ্যযন্ত্র আর ৫৭ বছরের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাসের নথিপত্র পোড়া সে গন্ধ সংস্কৃতিমনা পথচারীদের নাক হয়ে মাথায় গিয়ে আঘাত করছে। শুক্রবার রাতের পৈশাচিক হামলায় নির্বাক উদীচীর কর্মীরা তৈরী হচ্ছে গান দিয়েই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠিকে মোকাবিলার।
উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কংকন নাগ চরচা প্রতিবেদককে জানান, তোপখানা রোডের ঐতিহ্যবাহী এই ঘরে ছিল কয়েক হাজার বইয়ের সংগ্রহ, নথিপত্রে লেখা ছিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদীচীর সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাস।
গুরুত্বপূর্ণ বিপুলসংখ্যক বইয়ে সমৃদ্ধ উদীচীর লাইব্রেরির বুকশেলফও যেন ডুকরে কাঁদছে। দিনের পর দিন কর্মীদের শ্রমে ঘামে তৈরী নাটকের ১০টি পূর্ণাঙ্গ সেট পুড়ে ছাই। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক উদীচীতে হামলাকারীদের প্রতিক্রিয়াশীল বলাই যায়। তবুও সুর্নির্দিষ্ট করে তাদের পরিচয় সনাক্তের আগে তাদের দুষ্কৃতিকারীই বলতে হয়, সেটাই নিয়ম। কিন্তু উদীচী ভবনের কম্পিউটার, আর্কাইভ, পোস্টার, ব্যানার ও নথিপত্র লুটপাট আর ধ্বংসের যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে তাতে স্পষ্টই বোঝা যায় দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ঝেড়েছে কোনো একটি গোষ্ঠী।
উদীচীর ৫৭ বছরের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সভার রেজল্যুশন, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত, আন্দোলনের নথি সবকিছু পুড়িয়ে হয়তো বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করছে ওই গোষ্ঠী। কিন্তু উদীচী বলছে, এর আগেও আঘাত এসেছে বহুবার মাথানত করাতে পারেনি অশুভ গোষ্ঠী। এবারের আঘাতের পর আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বাঙ্গালী সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই করবে উদীচী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক দল হামলাকারীর আগুনে পুড়ে ছাই হয় দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ঐতিহাসিক কেন্দ্র উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়।

ঢাকায় বাসা-বাড়ি বলতে তেমন কিছু নেই বেলাল মিয়ার। ৩৭ বছর ধরে গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা রোড এলাকায় হকারি করছেন। বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। আজ রোববার দুপুরে একটা সিগারেট হাতে মনোযোগ দিয়ে উদীচীর পোড়া ভবনটি দেখছে।
এতো মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, তিনি জানতেন না এইটা সেই উদীচীর কার্যালয়। উদীচীকে তিনি চিনেন, জানেন। এই সংগঠন তাকে মানুষের কথা ভাবতে শিখিয়েছে। এর সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক। কীভাবে এই সম্পর্ক তৈরী হলো, জানতে চাইলে বললেন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এই উদীচীর শিল্পীদের তিনি শহীদ মিনারে দেখেছেন দল বেঁধে দেশের গান গাইতে।
তাদের মুখে মানুষের অধিকারের কথা বলতে শুনেছেন তিনি। বললেন, এই উদীচীর কারণেই পথ নাটকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। শুধু ঢাকায় না, ফরিদপুরেও তিনি উদীচীর মঞ্চের দর্শকের কাতারে বসেছেন বহুবার।
“সরকার চালি (চাইলে) এই হামলা চালাতি (চালাতে) পারতো না সন্ত্রাসীরা।” স্বগোক্তির মতো করে এ কথা বলে উদীচীর সামনে থেকে সরে যান বেলাল মিয়া।
কলাপসেবল গেট তালা দিয়ে ভেতরে চলছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব। চলছে মামলা করার প্রস্তুতি (রোববার সন্ধ্যা)। বাইরে অলস বসে আছে পুলিশের কয়েকজন সদস্য। উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পোড়া গন্ধ বাইরে থেকেই পাওয়া যায়। বই, বাদ্যযন্ত্র আর ৫৭ বছরের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাসের নথিপত্র পোড়া সে গন্ধ সংস্কৃতিমনা পথচারীদের নাক হয়ে মাথায় গিয়ে আঘাত করছে। শুক্রবার রাতের পৈশাচিক হামলায় নির্বাক উদীচীর কর্মীরা তৈরী হচ্ছে গান দিয়েই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠিকে মোকাবিলার।
উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কংকন নাগ চরচা প্রতিবেদককে জানান, তোপখানা রোডের ঐতিহ্যবাহী এই ঘরে ছিল কয়েক হাজার বইয়ের সংগ্রহ, নথিপত্রে লেখা ছিল প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদীচীর সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ইতিহাস।
গুরুত্বপূর্ণ বিপুলসংখ্যক বইয়ে সমৃদ্ধ উদীচীর লাইব্রেরির বুকশেলফও যেন ডুকরে কাঁদছে। দিনের পর দিন কর্মীদের শ্রমে ঘামে তৈরী নাটকের ১০টি পূর্ণাঙ্গ সেট পুড়ে ছাই। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক উদীচীতে হামলাকারীদের প্রতিক্রিয়াশীল বলাই যায়। তবুও সুর্নির্দিষ্ট করে তাদের পরিচয় সনাক্তের আগে তাদের দুষ্কৃতিকারীই বলতে হয়, সেটাই নিয়ম। কিন্তু উদীচী ভবনের কম্পিউটার, আর্কাইভ, পোস্টার, ব্যানার ও নথিপত্র লুটপাট আর ধ্বংসের যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে তাতে স্পষ্টই বোঝা যায় দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ঝেড়েছে কোনো একটি গোষ্ঠী।
উদীচীর ৫৭ বছরের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সভার রেজল্যুশন, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত, আন্দোলনের নথি সবকিছু পুড়িয়ে হয়তো বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করছে ওই গোষ্ঠী। কিন্তু উদীচী বলছে, এর আগেও আঘাত এসেছে বহুবার মাথানত করাতে পারেনি অশুভ গোষ্ঠী। এবারের আঘাতের পর আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বাঙ্গালী সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই করবে উদীচী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক দল হামলাকারীর আগুনে পুড়ে ছাই হয় দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ঐতিহাসিক কেন্দ্র উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়।

‘কমিউনিটির সাথে বিজ্ঞানের সেতুবন্ধন: বাংলাদেশে একটি কমিউনিটি-ভিত্তিক বজ্রপাতের পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরি করা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিএমডির পরিচালক মো. মোমেনুল ইসলাম।