যশোরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, বিপাকে জনজীবন

চরচা ডেস্ক
চরচা ডেস্ক
যশোরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড, বিপাকে জনজীবন

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৌসুমের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে যশোরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঠান্ডায় জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

আজ শনিবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন। বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গতকাল শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভোরের দিকে কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে অনেক শ্রমজীবী মানুষ ভোরে কাজে বের হতে পারছেন না।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে যশোর শহর ও আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

যশোর শহরের লালদীঘি পাড় এলাকায় প্রতিদিন সকালে তিন থেকে চারশ শ্রমিক কাজের আশায় জড়ো হলেও শীতের তীব্রতায় সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, “শীতকালে এমনিতে কাজ কম থাকে। একদিন কাজ পাইতো তিনদিন পাই না। তারপরও এই শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থাকি, কেউ যদি কাজে নেয় সেই আশায়।”

শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মিনহাজ বলেন, ‘’শীতে বাইরে বেরোতেই কষ্ট হচ্ছে। তারপরও কাজের সন্ধানে বের হয়েছি, কিন্তু কাজ পাচ্ছি না।”

রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, “শীত-কুয়াশার মধ্যে ভোর বেলায় রিক্সা নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু রাস্তাঘাট ফাঁকা, লোকজন নেই, যাত্রী পাচ্ছি না।”

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সকাল ৯টার পর সূর্যের আলো ওঠায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে এবং তখন শীতের তীব্রতা কম অনুভূত হয়। তবে আগামী কয়েকদিন এমন শীতল আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।

সম্পর্কিত