নির্বাচন বানচাল করতেই হাদিকে হত্যা: ইনকিলাব মঞ্চ

চরচা প্রতিবেদক
চরচা প্রতিবেদক
নির্বাচন বানচাল করতেই হাদিকে হত্যা: ইনকিলাব মঞ্চ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির সকল বক্তব্য ও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। ছবি: চরচা

আসন্ন নির্বাচন বানচাল করতেই পরিকল্পিতভাবে শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকারীদের বিদেশে পালাতে সহযোগিতা করা হয়েছে। এমন দাবি করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে হাদি স্মরণে আয়োজিত ‘শহীদি শপথ’ পাঠ অনুষ্ঠানে তারা এই কথা বলেন।

তাদের মতে, সরকার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে উদাসীনতা দেখাচ্ছে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার এবং আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।

এ সময় সংগঠনের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর দেশজুড়ে দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করা হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির সকল বক্তব্য ও বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”

যারা হাদির আদর্শ ধারণ করেন এবং তাকে ভালোবাসেন, তাদের সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

যারা হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতা, তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শহীদের রক্তের সঙ্গে কোনো ধরনের বেইমানি মেনে নেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চ মনে করে, হাদির হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের আড়াল করতে এখনো প্রকৃত অপরাধীদের জনসম্মুখে আনা হয়নি। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা বা সময়ক্ষেপণ গ্রহণযোগ্য হবে না।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাদির বড় ভাই ওমর বিন হাদি। তিনি বলেন, ‘‘শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের ষষ্ঠদিন পার হলেও সরকার এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি। আমরা সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছি, শহীদ হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত চক্রকে অবিলম্বে জাতির সামনে উন্মোচন করুন। জুলাই বিপ্লবের আগে যারা রাষ্ট্রকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করত, তারা কেউ আজ বাংলাদেশে নেই। তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে। হাদির বিচার না হলে, আজ যারা ক্ষমতায় আছে, তারাও একদিন এই দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে।”

সম্পর্কিত