চরচা ডেস্ক

শেষ হতে ২০২৫ সালের জানুয়ারির শুরু থেকে বিশ্বের তিন হাজারের বেশি বিলিয়নিয়ারের সম্মিলিত সম্পদ বেড়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যার সামগ্রিক মূল্য ১৮.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস সম্প্রতি ২০২৫ সালে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়ারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গত এক বছরে এই ১০ জন ৭২৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন।
তালিকার ১০ নম্বরে আছেন মেক্সিকোর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কার্লোস স্লিম হেলু। তার পরিবার লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মোবাইল টেলিকম কোম্পানি আমেরিকা মোভিল নিয়ন্ত্রণ করেন। এ বছর এই কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখেরও বেশি, আর বছরের প্রথম ৯ মাসে মোট আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৫ শতাংশ। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বৈশ্বিক বাজারে পতন দেখা গেলেও মেক্সিকো থেকে আসা অনেক পণ্যই এসব শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। এর ফলে এ বছর মেক্সিকান পেসোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। হেলু পরিবারের এ বছর সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৯ নম্বরে থাকা ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ কার্লোস স্লিম হেলুর সমান, ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ১৪১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। জাকারবার্গ মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ১৩ শতাংশ মালিকানা ধরে রেখেছেন।
জাপানি সফটব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মাসায়োশি সনের সম্পদ এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করার ফলে। তালিকায় তার অবস্থান অষ্টম। সনের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫.৪ বিলিয়ন ডলার। তার প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক এনভিডিয়ার প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে। এছাড়া ৫০০ বিলিয়ন ডলারের স্টারগেট প্রকল্পে ওপেনএআই ও ওরাকলের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্ত আছে সফটব্যাংক।
তলিকায় সপ্তম অবস্থানে থাকা জার্মান মোতা ভেলাস্কো ও তার পরিবারের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫.৬ বিলিয়ন ডলার। চাহিদা, সরবরাহজনিত সমস্যা এবং শুল্ক নিয়ে আশঙ্কার কারণে এ বছর তামার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় তামা খনি কোম্পানি গ্রুপো মেক্সিকোর শেয়ারের দাম প্রায় ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি মলিবডেনাম (স্টিলকে আরও মজবুত করতে এবং তেল পরিশোধন দ্রুত করতে ব্যবহৃত একটি ধাতু) উৎপাদন ও বিক্রি, পাশাপাশি দস্তা ও রুপার উৎপাদন ও বিক্রয় কোম্পানিটির আয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
তালিকার ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিয়েছে স্পেনের ফ্যাশন কোম্পানি আমাঞ্চিও ওর্তেগা। এ বছর তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৮.৭ বিলিয়ন। এই কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে তুলনামূলক কম দামের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড জারা। ২০২৫ সালে কোম্পানিটি ৫.৪ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফার কথা জানিয়েছে, যা আগের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ বেশি। স্পেনের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিও এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০টি নতুন স্টোর খুলেছে বা পুরোনো স্টোর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ওর্তেগার মালিক ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করছেন।
ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ল্যারি এলিসন পঞ্চম অবস্থানে আছেন। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪০.৬ বিলিয়ন ডলার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উন্মাদনার মধ্যে ওরাকলের শেয়ার গত ১০ সেপ্টেম্বর ৩৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এরপর থেকে শেয়ারের দাম কিছুটা কমলেও, এলিসনের জন্য বছরটি লাভজনকই থেকে গেছে। এছাড়া তিনি টিকটক ও প্যারামাউন্টের আংশিক শেয়ার কিনে নেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি প্যারামাউন্ট ও তার ছেলে ডেভিডের প্রতিষ্ঠান স্কাইড্যান্স মিডিয়ার মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলারের একীভূতকরণ চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
গ্রাফিক্স-চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং অবস্থান করছেন এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪২.৩ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাসে প্রথম কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য অতিক্রম করে এনভিডিয়া। এর পেছনে ছিল কৃত্রিম এআই চিপের বিপুল চাহিদা। বছরের শেষে তাদের শেয়ারের দাম বছরের শুরুর তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দুজনেই একই প্রতিষ্ঠানের। ৮৬.১ বিলিয়ন সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যারি পেইজের সম্পদ এ বছর বেড়েছে ৯৮.৭ বিলিয়ন ডলার। গত তিন মাসে গুগল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব অতিক্রম করে। কোম্পানির সর্বশেষ এআই মডেল জেমিনি ৩ ওপেনএআইসহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৯৮ সাকে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন। এই টেক কোম্পানির ৬ শতাংশেরও বেশি শেয়ারের মালিক এই দুজন। ২০২৫ সালে কোম্পনির ৬১ শতাংশ শেয়ারের উত্থান তাদের সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
তালিকার শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছেন ইলন মাস্ক। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩৩.২ বিলিয়ন। এই তালিকায় থাকা অন্য সবার মোট সম্পদের চেয়ে মাস্কের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ বেশি। এ বছরের শুরুতে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪২১ বিলিয়ন ডলার। অক্টোবরে তিনি ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হন; এ মাসে তার সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ২০২৫ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাস্কের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৭৫৪ বিলিয়ন ডলারে। মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ার গত এক বছরে ২২% বেড়েছে। এছাড়া মাস্কের রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রবৃদ্ধি থেকে অনুমান করা যায় মাস্ক বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারেন।
এই শীর্ষ দশজনের মধ্যে ছয়জনই আমেরিকান, এবং মোট অর্জিত সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি এসেছে তাদের হাত ধরে। এ থেকে বোঝা যায়, সাম্প্রতিক সম্পদ সৃষ্টির ঢেউ একটা দেশেই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এই দশজনের মধ্যে অধিকাংশের সম্পদই এসেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। বর্তমানে এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এআই প্রতিযোগিতায় চীনকে ছাড়িয়ে যেতে তার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

শেষ হতে ২০২৫ সালের জানুয়ারির শুরু থেকে বিশ্বের তিন হাজারের বেশি বিলিয়নিয়ারের সম্মিলিত সম্পদ বেড়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যার সামগ্রিক মূল্য ১৮.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস সম্প্রতি ২০২৫ সালে সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন শীর্ষ ১০ বিলিয়নিয়ারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গত এক বছরে এই ১০ জন ৭২৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন।
তালিকার ১০ নম্বরে আছেন মেক্সিকোর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কার্লোস স্লিম হেলু। তার পরিবার লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মোবাইল টেলিকম কোম্পানি আমেরিকা মোভিল নিয়ন্ত্রণ করেন। এ বছর এই কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখেরও বেশি, আর বছরের প্রথম ৯ মাসে মোট আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৫ শতাংশ। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বৈশ্বিক বাজারে পতন দেখা গেলেও মেক্সিকো থেকে আসা অনেক পণ্যই এসব শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। এর ফলে এ বছর মেক্সিকান পেসোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। হেলু পরিবারের এ বছর সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৯ নম্বরে থাকা ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ কার্লোস স্লিম হেলুর সমান, ২৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ১৪১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। জাকারবার্গ মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ১৩ শতাংশ মালিকানা ধরে রেখেছেন।
জাপানি সফটব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মাসায়োশি সনের সম্পদ এ বছর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করার ফলে। তালিকায় তার অবস্থান অষ্টম। সনের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫.৪ বিলিয়ন ডলার। তার প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংক এনভিডিয়ার প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে। এছাড়া ৫০০ বিলিয়ন ডলারের স্টারগেট প্রকল্পে ওপেনএআই ও ওরাকলের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্ত আছে সফটব্যাংক।
তলিকায় সপ্তম অবস্থানে থাকা জার্মান মোতা ভেলাস্কো ও তার পরিবারের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫.৬ বিলিয়ন ডলার। চাহিদা, সরবরাহজনিত সমস্যা এবং শুল্ক নিয়ে আশঙ্কার কারণে এ বছর তামার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় তামা খনি কোম্পানি গ্রুপো মেক্সিকোর শেয়ারের দাম প্রায় ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি মলিবডেনাম (স্টিলকে আরও মজবুত করতে এবং তেল পরিশোধন দ্রুত করতে ব্যবহৃত একটি ধাতু) উৎপাদন ও বিক্রি, পাশাপাশি দস্তা ও রুপার উৎপাদন ও বিক্রয় কোম্পানিটির আয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
তালিকার ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিয়েছে স্পেনের ফ্যাশন কোম্পানি আমাঞ্চিও ওর্তেগা। এ বছর তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ২৮.৭ বিলিয়ন। এই কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে তুলনামূলক কম দামের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড জারা। ২০২৫ সালে কোম্পানিটি ৫.৪ বিলিয়ন ডলার নিট মুনাফার কথা জানিয়েছে, যা আগের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ বেশি। স্পেনের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিও এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রে ৩০টি নতুন স্টোর খুলেছে বা পুরোনো স্টোর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া ওর্তেগার মালিক ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করছেন।
ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ল্যারি এলিসন পঞ্চম অবস্থানে আছেন। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪০.৬ বিলিয়ন ডলার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উন্মাদনার মধ্যে ওরাকলের শেয়ার গত ১০ সেপ্টেম্বর ৩৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এরপর থেকে শেয়ারের দাম কিছুটা কমলেও, এলিসনের জন্য বছরটি লাভজনকই থেকে গেছে। এছাড়া তিনি টিকটক ও প্যারামাউন্টের আংশিক শেয়ার কিনে নেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি প্যারামাউন্ট ও তার ছেলে ডেভিডের প্রতিষ্ঠান স্কাইড্যান্স মিডিয়ার মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলারের একীভূতকরণ চুক্তি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
গ্রাফিক্স-চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং অবস্থান করছেন এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৪২.৩ বিলিয়ন ডলার। ইতিহাসে প্রথম কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য অতিক্রম করে এনভিডিয়া। এর পেছনে ছিল কৃত্রিম এআই চিপের বিপুল চাহিদা। বছরের শেষে তাদের শেয়ারের দাম বছরের শুরুর তুলনায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দুজনেই একই প্রতিষ্ঠানের। ৮৬.১ বিলিয়ন সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ল্যারি পেইজের সম্পদ এ বছর বেড়েছে ৯৮.৭ বিলিয়ন ডলার। গত তিন মাসে গুগল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব অতিক্রম করে। কোম্পানির সর্বশেষ এআই মডেল জেমিনি ৩ ওপেনএআইসহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৯৮ সাকে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন। এই টেক কোম্পানির ৬ শতাংশেরও বেশি শেয়ারের মালিক এই দুজন। ২০২৫ সালে কোম্পনির ৬১ শতাংশ শেয়ারের উত্থান তাদের সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।
তালিকার শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছেন ইলন মাস্ক। তার সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩৩.২ বিলিয়ন। এই তালিকায় থাকা অন্য সবার মোট সম্পদের চেয়ে মাস্কের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ বেশি। এ বছরের শুরুতে ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪২১ বিলিয়ন ডলার। অক্টোবরে তিনি ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হন; এ মাসে তার সম্পদ ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ২০২৫ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাস্কের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৭৫৪ বিলিয়ন ডলারে। মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ার গত এক বছরে ২২% বেড়েছে। এছাড়া মাস্কের রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রবৃদ্ধি থেকে অনুমান করা যায় মাস্ক বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারেন।
এই শীর্ষ দশজনের মধ্যে ছয়জনই আমেরিকান, এবং মোট অর্জিত সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি এসেছে তাদের হাত ধরে। এ থেকে বোঝা যায়, সাম্প্রতিক সম্পদ সৃষ্টির ঢেউ একটা দেশেই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এই দশজনের মধ্যে অধিকাংশের সম্পদই এসেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। বর্তমানে এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এআই প্রতিযোগিতায় চীনকে ছাড়িয়ে যেতে তার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইহুদিদের বসতি অর মেয়ার আয়তনে খুবই ছোট। মুষ্টিমেয় কয়েকটি অস্থায়ী আশ্রয় নিয়ে গড়ে ওঠা এই ঘাঁটিটি ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি পাহাড়ের চূড়ায়, কাঁচা রাস্তার একেবারে শেষে অবস্থিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ এসব আশ্রয়ই একটি পূর্ণাঙ্গ ইসরায়েলি আবাসন প্রকল্পে পরিণত হয়েছে।