
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনটি গ্রুপ একজোট হয়ে পরাস্ত করেছে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। কিন্তু জেনেভা ক্যাম্পের অপরাধ জগত নির্মূল হবে কবে? ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে কীভাবে?

“এখন পুলিশ–র্যাব–সেনাবাহিনী সব আমার পকেটে। আমার ইশারায় অভিযান হয়, আমিই জেনেভা ক্যাম্পের সুলতান।” কথাটা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের অঘোষিত ‘সুলতান’ পিচ্চি রাজার। কে এই পিচ্চি রাজা, যিনি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স থেকে নিজেকে ‘সুলতান’ ঘোষণার মতো সদম্ভ ভাষ্য দিতে পারেন?

গত ১৭ বছর ধরে ক্যাম্পে চলা মাদক কারবারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা বুনিয়া সোহেলের সঙ্গে সঙ্গে তার সাম্রাজ্যও এখন আইসিইউতে। ক্যাম্পের মাদক সাম্রাজ্যের দখল এখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন গ্রুপের। সাম্রাজ্যই বটে।

২১ নভেম্বর (২০২৫) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে RAB-2 সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে RAB জানিয়েছে ‘রক্তচোষা জনি’কে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক অহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা আফছার আলম বাদী হয়ে সাতজনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণে মো. জাহিদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণ গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বন্ধুরা।