চরচা ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টিকে বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দেখছে ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-এর এক প্রতিবেদনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিং এর বরাতে এ তথ্য জানানো হয়।
নয়াদিল্লিতে ওই ব্রিফিংয়ে প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন শেষে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। এই ঘটনাকে সেই প্রেক্ষাপট থেকেই দেখা উচিত।”
১৭ বছরের নির্বাসন শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেযারম্যান তারেক রহমান।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রকম ও সুস্পষ্ট। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে, যা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
২৯০০ সংখ্যালঘু নির্যাতন ‘নথিবদ্ধ’
ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চরমপন্থিদের বিরামহীন শত্রুতা গভীর উদ্বেগের।”
তার দাবি, “স্বাধীন সূত্রগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৯০০ সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করেছে; যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও জমি দখলের ঘটনা। এসব ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জন কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবকের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই এবং আশা করি এর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর ভারত ‘নজর রাখছে’ মন্তব্য করে বণধীর বলেন, “আমাদের কর্মকর্তারাবাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে রাখছেন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরাও দিপু দাসের বর্বর হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকোরের পতনের পর ক্ষমতায় আসা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য এবং দেশটির সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবরকে ‘অতিরঞ্জন’ বলছে ঢাকা। ‘রাজনৈতিক সহিংসতাকে’ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে দেখানোর কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টিকে বাংলাদেশে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে দেখছে ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’-এর এক প্রতিবেদনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিং এর বরাতে এ তথ্য জানানো হয়।
নয়াদিল্লিতে ওই ব্রিফিংয়ে প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন শেষে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারত বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। এই ঘটনাকে সেই প্রেক্ষাপট থেকেই দেখা উচিত।”
১৭ বছরের নির্বাসন শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেযারম্যান তারেক রহমান।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান একই রকম ও সুস্পষ্ট। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় ভারত। আমরা বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে, যা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
২৯০০ সংখ্যালঘু নির্যাতন ‘নথিবদ্ধ’
ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চরমপন্থিদের বিরামহীন শত্রুতা গভীর উদ্বেগের।”
তার দাবি, “স্বাধীন সূত্রগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৯০০ সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করেছে; যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও জমি দখলের ঘটনা। এসব ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জন কিংবা রাজনৈতিক সহিংসতা হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবকের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই এবং আশা করি এর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর ভারত ‘নজর রাখছে’ মন্তব্য করে বণধীর বলেন, “আমাদের কর্মকর্তারাবাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগে রাখছেন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরাও দিপু দাসের বর্বর হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকোরের পতনের পর ক্ষমতায় আসা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য এবং দেশটির সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবরকে ‘অতিরঞ্জন’ বলছে ঢাকা। ‘রাজনৈতিক সহিংসতাকে’ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে দেখানোর কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।