
গাজায় যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি আবারও জটিল রূপ নিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে হামাস। এ অবস্থায় গাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিকল্পনাগুলোও পড়ছে বড় চ্যালেঞ্জে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডা. মুনির আল-বুর্শ এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, প্রত্যেকটি মরদেহের ব্যাগের ভেতরে পাওয়া নথিতে উল্লেখ ছিল যে মরদেহগুলো সেদে তেইমান কারাগার থেকে এসেছে।

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে হামাস । এই দাবির স্বপক্ষে জোরালো প্রমাণ রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা

ট্রাম্প প্রশাসন একটি ভয়াবহ সংঘাত থামাতে সক্ষম হয়েছে। এখন চ্যালেঞ্জ হলো, চুক্তিটি যে প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে পারে| তা সত্ত্বেও চুক্তিটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এর আন্তর্জাতিক সমর্থকদের উৎসাহিত করা।

‘ট্রাম্প ডিক্লারেশন ফর এনডিউরিং পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’ নামে কোনো দলিলের মধ্যে তেমন বিস্তারিত কিছুই নেই। এটি মাত্র ৪৬২ শব্দের এক বিবৃতি, যা মিশরে স্বাক্ষরিত হয়েছে কয়েকজন আন্তর্জাতিক নেতার মধ্যে। তবে সেখানে ইসরায়েল বা হামাসের কোনো প্রতিনিধিই ছিল না।

জিম্মিদের মধ্যে আছেন: এলকানা বোহবট, আভিনাতান অর, ইয়োসেফ-চায়িম ওহানা, ইভিয়াটার ডেভিড, রোম ব্রাসলাবস্কি, সেগেভ কালফন, ম্যাক্সিম হারকিন, বার কুপারস্টেইন, এইটান হর্ন, আরিয়েল কুনিও, ডেভিড কুনিও, মাতান জাঙ্গাউকার এবং নিম্রোড কোহেন। ধারণা করা হচ্ছে, জীবিত সব জিম্মিকেই এখন মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

হিজবুল্লাহর মূল লক্ষ্য ইসরায়েলের অস্তিত্বের বিরোধিতা করা এবং ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তার করা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলসহ অনেক দেশ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।

গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সাত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাস। আজ সোমবার রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

নুসেইরাত শিবির থেকে ফেরা আহমেদ আবু শানাব বলেন, “দক্ষিণ থেকে উত্তরে ফেরার যাত্রা ছিল খুবই কঠিন। আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি এবং পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। আক্ষরিক অর্থে ঘুমাতে পারিনি।”

নুসেইরাত শিবির থেকে ফেরা আহমেদ আবু শানাব বলেন, “দক্ষিণ থেকে উত্তরে ফেরার যাত্রা ছিল খুবই কঠিন। আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি এবং পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না। আক্ষরিক অর্থে ঘুমাতে পারিনি।”

আগামী সপ্তাহে মিশরের কায়রোতে ইসরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিদলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা শুরু হবে।

আগামী সপ্তাহে মিশরের কায়রোতে ইসরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিদলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা শুরু হবে।

হামাস একইসঙ্গে গাজার শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে কাজ করে। এই দ্বৈত পরিচয় তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে, কারণ তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সামরিক কর্মকাণ্ডকে আলাদা করা কঠিন।

হামাস একইসঙ্গে গাজার শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে কাজ করে। এই দ্বৈত পরিচয় তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে, কারণ তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সামরিক কর্মকাণ্ডকে আলাদা করা কঠিন।