চরচা ডেস্ক

ডেড ইন্টারনেট থিওরিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা ‘কন্সপিরেসি থিওরি’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই–এর উত্থানের ফলে যা দৃশ্যমান। এই তত্ত্বের মূল বিষয়, ইন্টারনেট এখন মানুষের কার্যকলাপের চেয়ে বট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত কার্যকলাপের দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান এবং ওপেনএআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান সম্প্রতি বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসে। আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরে।
ওহানিয়ান এক্সের একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি তোলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিটের বহু ব্যবহারকারী “পাউন্ড কেক” নামের একটি মোটা বিড়ালের ওজন কমানো সম্পর্কিত পোস্টে প্রতারিত হয়। পরে জানা যায়, বিড়ালটি আসলে ছিল এআই-জেনারেটেড। ওহানিয়ান বলেন, এক দশক আগে এটিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মনে হলেও এখন এটি “খুবই বাস্তব”। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ এআই ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করছে।
স্যাম অল্টম্যান সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে বলেন, ”আমি কখনও এই তত্ত্বকে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ’বহু এলএলএম বা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল চালিত এক্স অ্যাকাউন্ট’ দেখা যাচ্ছে।”
সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ইমপারভা-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইন্টারনেটের মোট ট্রাফিকের ৫১ শতাংশ বটের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ, বট মানুষের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এক দশকে এই প্রথমবার এমন হলো। সংস্থাটি এর কারণ হিসেবে এআই এবং এলএলএম-এর উত্থানকে দায়ী করেছে।
এআই-এর উত্থানের আগে বিশেষজ্ঞরা এই তত্ত্বকে বিশেষ পাত্তা দেননি। তবে এখন অনেকেই এর বাস্তবতা স্বীকার করছেন। সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল এক গবেষণাপত্রে বলেন, ১০ বছর আগে এটি ’অনুমানমূলক’ থাকলেও জেনারেটিভ এআই-এর উত্থানের সাথে সাথে এখন এটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায়। তারা আরও বলেন, এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পক্ষে মানব-সৃষ্ট ও এআই-সৃষ্ট কনটেন্টের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের কম্পিউটার বিজ্ঞান গবেষক জেক রেনজেলা এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের ভ্লাদা রোজোভা কৃত্রিমভাবে তৈরি কনটেন্ট অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার গোষ্ঠীভিত্তিক প্রবণতার কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, এআই বট কৃত্রিম ছবি তৈরি করে, যা অন্য এআই-চালিত অ্যাকাউন্ট দ্বারা বুস্ট ও রিপোস্ট হয়। এই কাজটিতে মানুষের আর কোনো ভূমিকাই থাকে না। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এআই-জেনারেটেড ছবি ‘শ্রিম্প জেসাস’-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রযুক্তি সম্পাদক অ্যালেক্স হার্ন মনে করেন, ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্ম এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে। কারণ, তিনি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য উচ্চ এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর ফলে অনেকে নীল টিক কিনে, তাকে এলএলএম-এর সাথে যুক্ত করে ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।
নানা অনলাইন ফোরামে এই ‘ডেড ইন্টারনেট থিওরি’ ভাইরাল হয়েছিল। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিটে ইলুমিনাটিপাইরেট নামের এক ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট “মানুষশূন্য এবং বেশির ভাগ তথাকথিত মানুষ-সৃষ্ট কন্টেন্টও আসলে এআই দ্বারা তৈরি।”
ডেড ইন্টারনেট থিউরি সকলের মাঝে পরিচিত নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই তত্ত্ব আমাদের সতর্ক করছে যে, যেভাবে এআই–এর বিস্তার হচ্ছে, নেট দুনিয়ায় যেভাবে বটের উপস্থিতি বাড়ছে, তাতে অনলাইন দুনিয়ায় মানুষের উপস্থিতি সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যাবে। এতে মুশকিলটি কোথায়? সংকট হলো–মানুষের পক্ষে আর নেট দুনিয়ার অনেক কার্যক্রমই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে না। বাধাগ্রস্ত হবে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নানা পর্যায়।

ডেড ইন্টারনেট থিওরিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বা ‘কন্সপিরেসি থিওরি’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই–এর উত্থানের ফলে যা দৃশ্যমান। এই তত্ত্বের মূল বিষয়, ইন্টারনেট এখন মানুষের কার্যকলাপের চেয়ে বট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত কার্যকলাপের দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত।
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান এবং ওপেনএআই-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যান সম্প্রতি বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসে। আমেরিকান বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরে।
ওহানিয়ান এক্সের একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি তোলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিটের বহু ব্যবহারকারী “পাউন্ড কেক” নামের একটি মোটা বিড়ালের ওজন কমানো সম্পর্কিত পোস্টে প্রতারিত হয়। পরে জানা যায়, বিড়ালটি আসলে ছিল এআই-জেনারেটেড। ওহানিয়ান বলেন, এক দশক আগে এটিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মনে হলেও এখন এটি “খুবই বাস্তব”। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ এআই ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করছে।
স্যাম অল্টম্যান সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে বলেন, ”আমি কখনও এই তত্ত্বকে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ’বহু এলএলএম বা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল চালিত এক্স অ্যাকাউন্ট’ দেখা যাচ্ছে।”
সাইবার সিকিউরিটি সংস্থা ইমপারভা-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইন্টারনেটের মোট ট্রাফিকের ৫১ শতাংশ বটের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ, বট মানুষের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। এক দশকে এই প্রথমবার এমন হলো। সংস্থাটি এর কারণ হিসেবে এআই এবং এলএলএম-এর উত্থানকে দায়ী করেছে।
এআই-এর উত্থানের আগে বিশেষজ্ঞরা এই তত্ত্বকে বিশেষ পাত্তা দেননি। তবে এখন অনেকেই এর বাস্তবতা স্বীকার করছেন। সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল এক গবেষণাপত্রে বলেন, ১০ বছর আগে এটি ’অনুমানমূলক’ থাকলেও জেনারেটিভ এআই-এর উত্থানের সাথে সাথে এখন এটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায়। তারা আরও বলেন, এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পক্ষে মানব-সৃষ্ট ও এআই-সৃষ্ট কনটেন্টের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের কম্পিউটার বিজ্ঞান গবেষক জেক রেনজেলা এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের ভ্লাদা রোজোভা কৃত্রিমভাবে তৈরি কনটেন্ট অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার গোষ্ঠীভিত্তিক প্রবণতার কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, এআই বট কৃত্রিম ছবি তৈরি করে, যা অন্য এআই-চালিত অ্যাকাউন্ট দ্বারা বুস্ট ও রিপোস্ট হয়। এই কাজটিতে মানুষের আর কোনো ভূমিকাই থাকে না। উদাহরণ হিসেবে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এআই-জেনারেটেড ছবি ‘শ্রিম্প জেসাস’-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রযুক্তি সম্পাদক অ্যালেক্স হার্ন মনে করেন, ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্ম এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে। কারণ, তিনি ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য উচ্চ এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছেন। এর ফলে অনেকে নীল টিক কিনে, তাকে এলএলএম-এর সাথে যুক্ত করে ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।
নানা অনলাইন ফোরামে এই ‘ডেড ইন্টারনেট থিওরি’ ভাইরাল হয়েছিল। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রেডিটে ইলুমিনাটিপাইরেট নামের এক ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট “মানুষশূন্য এবং বেশির ভাগ তথাকথিত মানুষ-সৃষ্ট কন্টেন্টও আসলে এআই দ্বারা তৈরি।”
ডেড ইন্টারনেট থিউরি সকলের মাঝে পরিচিত নয়, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই তত্ত্ব আমাদের সতর্ক করছে যে, যেভাবে এআই–এর বিস্তার হচ্ছে, নেট দুনিয়ায় যেভাবে বটের উপস্থিতি বাড়ছে, তাতে অনলাইন দুনিয়ায় মানুষের উপস্থিতি সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে যাবে। এতে মুশকিলটি কোথায়? সংকট হলো–মানুষের পক্ষে আর নেট দুনিয়ার অনেক কার্যক্রমই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে না। বাধাগ্রস্ত হবে পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নানা পর্যায়।

চীন বর্তমানে তার সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বিতর্কিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি নির্মাণ করছে। আর সেটি হলো ইয়ারলুং জাংবো নদের ওপর একটি বিশাল জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এই প্রকল্পের প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশের ওপর সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার মানুষের জীবন ও পরিবেশের