
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

কমিশন জানায়, আগামী ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে এ নির্বাচনের তফসিল। আজ রোববার এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর ইসির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব দলের প্রস্তুতির জন্য ভালো হয়–এমন সময়ে তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। তফসিল দেওয়ার সময় যেন রাজনৈতিক দলগুলো স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে।’’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “আমাদের সামনে নির্বাচন ও গণভোটের যে আয়োজন, তা বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং একটি আরেকটির পরিপূরক। গণভোটের চারটা প্রশ্নের ওপর যে শুধু একটা উত্তর, সেটা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে।”

একই দিনে ভোট-গণভোট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একদিনে আয়োজনের কারণে সময় ও সংকট বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এই সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে কেন্দ্র ও বুথ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সেনাবাহিনীকে বর্তমানে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া আছে, তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী— তারা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে কাজ করছেন এবং তাদের ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের ঐতিহাসিক রায়ের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মহাসড়কে চলা শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, আর কোনোদিন দিনের ভোট রাতে হবে না।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

এসব দলের অনেকেই আদালতের আদেশের কথা বলে নিবন্ধন পেলেও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা আছে, তারা সব শর্ত পূরণ করেনি। “তারপরও তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু যারা প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক সংগ্রাম করেছেন, যেমন তারেক রহমান, তারা বঞ্চিত। এটা কি ন্যায়সঙ্গত?”— প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এসব দলের অনেকেই আদালতের আদেশের কথা বলে নিবন্ধন পেলেও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা আছে, তারা সব শর্ত পূরণ করেনি। “তারপরও তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু যারা প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক সংগ্রাম করেছেন, যেমন তারেক রহমান, তারা বঞ্চিত। এটা কি ন্যায়সঙ্গত?”— প্রশ্ন রাখেন তিনি।

“ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ, মন্দির, ভাঙচুর হয়েছে-এ ধরনের পরিবেশে পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়েছেন এবার কেউ আপনাদের অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

“ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ, মন্দির, ভাঙচুর হয়েছে-এ ধরনের পরিবেশে পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়েছেন এবার কেউ আপনাদের অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

‘আমরা কোন পথে এগুবো— গণতন্ত্রের পথে, নাকি তার বাইরে— এটা এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। গণতন্ত্র যেন আরও এগিয়ে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

‘আমরা কোন পথে এগুবো— গণতন্ত্রের পথে, নাকি তার বাইরে— এটা এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। গণতন্ত্র যেন আরও এগিয়ে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’