
রয়টার্সের বিশ্লেষণ
দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামো, অর্থের ঘাটতি এবং নারী ও সংখ্যালঘু অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অস্পষ্ট অবস্থান-এসব কারণে এনসিপি বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো দলের সঙ্গে বৈঠক করছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব দলের প্রস্তুতির জন্য ভালো হয়–এমন সময়ে তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। তফসিল দেওয়ার সময় যেন রাজনৈতিক দলগুলো স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে।’’

রাজধানীর শাহবাগের আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে (২৩ নভেম্বর, ২০২৫) কথা বলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

“বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে, তাদের সম্মানে আমরা প্রার্থী নাও দিতে পারি।”

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “একদল সংস্কার আর আরেক দল নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়। সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নোট অব ডিসেন্ট থাকলে গণভোট লাগে না।”

“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে সার্বভৌম ক্ষমতা সেটার একমাত্র বৈধতা মুহাম্মদ ইউনূসেরই আছে। সেটা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর নাই। ফলে সাংবিধানিক আদেশ যেটা সংবিধান বহির্ভূত হিসেবে দেওয়া লাগবে সেটা কোনভাবেই প্রেসিডেন্ট চুপ্পু দিতে পারবে না।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের যদি প্রতীক না থাকে তাহলে তো আমাদের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। আর অন্য কোনো প্রতীক তো আমরা নেব না, সেটা আমরা বলেছি। আমরা বলেছি, শাপলা কেন আমরা পাব না তার আইনি, সাংবিধানিক ব্যাখ্যা আমাদের দিলে তখন আমরা অন্য প্রতীকের বিষয়ে বিবেচনা করব।”

নাহিদের ভাষ্য, “তবে এই বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা মনে করি, জুলাই সনদে স্বাক্ষর কেবল আনুষ্ঠানিকতা-এতে অংশগ্রহণ করা না করায় তেমন পার্থক্য নেই। বরং জনগণের সামনে বিষয়গুলো স্পষ্ট না করে সনদ স্বাক্ষরের আয়োজন করা এক ধরনের ছলচাতুরী মনে হবে।”

গত বছর ৪ আগস্টই নতুন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে জানালেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

গত বছর ৪ আগস্টই নতুন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে জানালেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।